ধামরাইয়ে সাংবাদিক জুলহাস হত্যার চার্জশীটে মুল আসামির নাম কর্তন, প্রতিবাদে  মানববন্ধন

ধামরাই (ঢাকা) থেকে:

ঢাকার ধামরাইয়ে প্রকাশ্য জবাই করে সাংবাদিক জুলহাস উদ্দিন হত্যা মামলায় বাদীর নারাজী আবেদন খারিজের প্রতিবাদে মানবন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়েছে।

বুধবার বাদ জোহর উপজেলার দক্ষিণ হাতকোড়া জামে মসজিদের সামনে সাংবাদিক জুলহাস উদ্দিনের পরিবার ও এলাকাবাসী এ মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেন।

মানববন্ধন কর্মসূচী পালনকালে বক্তারা বলেন, মামলাটির অধিকতর তদন্ত করে মূল আসামীদের অন্তর্ভুক্তি করতে হবে। ২০২০ সালের ৩ সেপ্টেম্বর প্রকাশ্য দিবালোকে খুনিরা বারবাড়ীয়া বাসস্ট্যান্ডে সাংবাদিক জুলহাস উদ্দিনকে জবাই করে হত্যা করে। এ সময় শাহিন আলম ও মোয়াজ্জেম হোসেন জনতার হাতে আটক হয়।

আনিসুর রহমান আনিস,আব্দুল মালেক,তৈমুর রহমান তুলা মিয়া ও সোমা আক্তার দৌড়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে আনিসুর রহমান আনিস গ্রেফতার হলেও চার্জশীট থেকে তার নাম বাদ দেয়া হয়।

এ মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মো. কামাল হোসেন(ওসি তদন্ত) ও অফিসার ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক দীপক চন্দ্র সাহা একে অপরের সঙ্গে যোগসাজস করে মূল আসামীদের মামলার অর্ন্তভুক্তি না করে  আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। পরে মামলার বাদী রিনা আক্তার মামলার অধিকতর তদন্ত চেয়ে চার্জশীটের ব্যাপারে নারাজী আবেদন দাখিল করেন আদালতে ।

মঙ্গলবার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মো. আশরাফুজ্জামানের আদালতে নারাজী আবেদনের শুনানি ছিল। বাদীপক্ষে নারাজী আবেদেনের শুনানি করেন আইনজীবি মো. মেহেদী হাসান বাদল। বিবাদীপক্ষে শুনানি করেন আইনজীবি মো. মাসুদুর রহমান।

শুনানী শেষে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাজী আশরাফুজ্জামান অধিকতর তদন্ত না দিয়ে বাদিনীর  নারাজী আবদেন খারিজ করেন।

মানববন্ধন কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখেন,সাংবাদিক জুলহাস উদ্দিনের স্ত্রী কবিতা ইসলাম,ছেলে নুসরাত আহাম্মেদ শাহাদাৎ,মাতা নুরজাহান বেগম,বোন(বাদী) রিনা আক্তার,বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. কামাল উদ্দিন ও ব্যবসায়ী মো. শাহীন আলম প্রমুখ।