ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে জড়ানোর পর নিজেদের সৈন্য সংখ্যা বাড়ানোর দিকে জোর দিয়েছে রাশিয়া। কেননা, ইউক্রেন ছাড়াও রাশিয়াকে লড়তে হচ্ছে ন্যাটো ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে। স্বাভাবিকভাবেই বাড়াতে হচ্ছে সেনা সংখ্যা। সেই লক্ষ্যেই দেশটি প্রতিদিন ১ হাজার নতুন লোক নিয়োগ দিচ্ছে সেনাবাহিনীতে। যা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকেই নিজেদের সেনা সংখ্যা বাড়ানোর দিকে জোর দিয়েছে রাশিয়া। গত মে মাসে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছিলেন, সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে তাদের প্রায় ৭ লাখ সেনা মোতায়েন করা আছে।
তবে নিজেদের সেনা সংখ্যা বাড়ানোর দিকেও বেশ মনোযোগ রয়েছে রাশিয়ার। ২০২৪ সালেই প্রায় ২ লাখ নতুন সেনা নিয়োগ দিয়েছে রাশিয়া। গড়ে প্রতিদিনে যা প্রায় ১ হাজার জন।
রাশিয়ার সেনা নিয়োগের বিষয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি এবং পশ্চিমা মিডিয়ার দাবি, রাশিয়া দ্বিতীয় দফায় সৈন্য সমাবেশের পরিকল্পনা করছে। এর আগে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে অতিরিক্ত ৩ লাখ সেনা নিয়োগের পরিকল্পনার ঘোষণা দিয়েছিল মস্কো। যা ফের করতে যাচ্ছে তারা। যদিও এ বিষয়ে পুতিনের দাবি, নিয়মিত খসড়ার বাইরে নতুন করে সৈন্য সমাবেশের প্রয়োজন নেই তার।
এদিকে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী, ডনবাসে ২০২৩ সালের ব্যর্থ পাল্টা আক্রমণ এবং তীব্র লড়াইয়ের পর ফের নতুন করে লড়াই করার পরিকল্পনা করছে। যেই লক্ষ্যে গত এপ্রিলে, সেনা নিয়োগের বয়স ২৭ থেকে ২৫-এ নামিয়ে এনেছে কিয়েভ। সেই সঙ্গে তালিকাভুক্ত কর্মকর্তাদের আরও ক্ষমতা দিয়েছে তারা। যদিও ইউক্রেনের কর্মকর্তাদের অভিযোগ, পশ্চিমা অস্ত্র সরবরাহে বিলম্বের কারণে বেশি হতাহতের ঘটনা ঘটেছে তাদের।
এদিকে পুতিন বলছেন, রাশিয়ান বাহিনী বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ৪৭টি বসতি এবং ৮৮০ বর্গ কিলোমিটারের বেশি ভূমি মুক্ত করেছে। সেই সঙ্গে ধীরে ধীরে শত্রুকে ডনবাস থেকে ঠেলে দিচ্ছে তারা। নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিচ্ছে ডনবাস।