চ্যাটজিটিপির এর নিজস্ব সংস্করণ প্রকাশ করার পর, ইলন মাস্ক এবার প্রযুক্তি বাজারে নিয়ে আসতে যাচ্ছেন এক্সমেইল(Xmail)। শুধু তাই নয়, বাজারে আসার আগেই গুগলের বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় ইমেইল পরিষেবা জিমেইল (Gmail) এর সঙ্গে কড়া প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস দিয়ে রেখেছে মাস্কের প্রতিষ্ঠান এক্স কর্প।
নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স -এ একটি কথোপকথনে, ইলন মাস্কও নিশ্চিত করেছেন তার নতুন ইমেইল পরিষেবা লঞ্চের ব্যাপারে। বলেছেন, ‘এক্সমেইল’ নামে একটি সার্ভিস খুব শিগগিরই আসতে চলেছে।
সোশ্যাল মিডিয়া নেটওয়ার্কগুলোতে সম্প্রতি একটি জাল ছবি প্রচার শুরু হওয়ার সূত্র ধরে গুগল জিমেইল বন্ধ করার গুজবের মুখোমুখি হওয়ার পরই এই ঘোষণাটি এলো। ইলন মাস্ক অবশ্য আসন্ন পরিষেবাটি সম্পর্কে বেশি কোনও বিবরণ প্রদান করেনি, তাই এটি কখন অ্যাক্সেসযোগ্য হবে তা অজানাই রয়ে গেছে। তবে দ্রুতই এটি এক্স অ্যাপে যুক্ত হবে বলেও আশা করা হচ্ছে।
গত শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) নাথান ম্যাকগ্র্যাডি নামে এক্স-এর সিকিউরিটি ইঞ্জিনিয়ারিং টিমের একজন সিনিয়র সদস্য তার প্লাটফর্মে একটি পোস্ট করেন, যেখানে তিনি প্রশ্ন রাখেন, ‘এক্সমেইল লঞ্চ হচ্ছে কবে?’ তার ওই পোস্টের প্রতিক্রিয়ায় স্বত্তাধিকারী মাস্ক লিখেন, ‘শিগগিরই লঞ্চ হবে এক্সমেইল। ইমেল পরিষেবা খাতে একটি বিশাল উত্থান হতে যাচ্ছে।’
একই পোস্টে একজন এক্স ইউজার মন্তব্য করেছেন, ‘জিমেইলে আস্থা হারিয়েছি। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এক্সমেইল-এ স্যুইচ করার সময় এসেছে!’
অন্য একজন লিখেছেন, ‘আমি আমার জিমেইল ব্যবহার করব, যেভাবে আমি এখন আমার হটমেইল (Hotmail) ব্যবহার করি- জাঙ্কের জন্য।
এই মূহুর্তে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ইমেইল পরিষেবা জিমেইল। বিশ্বব্যাপী ১৮০ কোটি সক্রিয় ইউজার রয়েছে এর।
এক্সমেইল লঞ্চের আভাস প্রসঙ্গে রিয়া ফ্রিম্যান নামে এক সোশ্যাল মিডিয়া স্ট্রাটেজিস্ট বলেছেন, জিমেইলের এক্স সংস্করণ আসতে পারে। আর যদি তা সত্যি হয়, জিমেইল ত্যাগ করে সেটি গ্রহণ করা দেখাটা আকর্ষণীয় হবে।
ফ্রিম্যান আরও বলেন, ‘ইলন মাস টুইটার কিনে নিয়ে তাতে বিশাল পরিবর্তন করেছেন। তার পক্ষে জনমত আছে বলে মনে হয় না, তাই লোকেরা তাদের ইমেল পরিচালনার সঙ্গে এক্স-কে বিশ্বাস করবে কি না তা দেখার বিষয় হবে।
এদিকে, গুগল শুক্রবার এক্স-এ ঘোষণা করেছে যে জিমেইল বন্ধ হচ্ছে না। তারা ডিফল্ট জিমেইল ইন্টারফেস পরিবর্তন করেছে, যেটি আগে ‘বেসিক HTML’ ছিল, আর এখন এটি নতুন এবং আরও রঙিন। এই পরিবর্তনটি ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে প্রথম করা হয়।