বরিশালে দীপাবলি উৎসব শুরু

বরিশাল ব্যুরো চীফ:

বরিশাল মহাশ্মশানে ১৯২৭ সাল থেকে পালিত হয়ে আসছে শ্মশান দীপাবলি উৎসব। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দাবি, উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ বরিশাল মহাশ্মশানে অনুষ্ঠিত হবে দিপাবলী উৎসব হবে। প্রায় দুইশত বছরের অধিক সময় ধরে এখানে চলে আসছে এ উৎসব। এবারেও উৎসবকে ঘিরে সকল আয়োজন সম্পন্ন করেছে শ্মশান রক্ষা কমিটি।

আজ ৩ নভেম্বর বুধবার বিকাল ৫টায় ভূত চতুর্দশী তিথিতে শুরু হওয়া দিপাবলী উৎসব শেষ হবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার। তবে উৎসবের সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে বুধবার রাতেই।

এদিকে, দিপাবলী উৎসবকে ঘিরে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মঙ্গলবার থেকেই মহাশ্মশান এলাকা নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা পড়েছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি শ্মশানে সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেই সাথে এবারই প্রথম ড্রোন ক্যামেরার মাধ্যমে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করবে মেট্রোপলিটন পুলিশ।

জানা গেছে, ‘ভূত চতুদর্শী তিথিতে হয়ে থাকে হিন্দু ধর্মাবলম্বিদের শ্মশান দিপাবলী উৎসব। এ উৎসবের দিনে মোমবাতি ও প্রদীপের আলোয় আলোকিত হয়ে ওঠে শ্মশান। এদিন মৃত স্বজনদের সমাধিতে প্রদীপ জালিয়ে প্রার্থনা করে থাকেন তাদের স্বজনরা। এজন্য গত কয়েক দিন ধরেই শ্মশানে মৃত স্বজনদের সমাধিতে রং করা, মাটির সমাধি সংস্কার এবং ধোয়া মোছায় ব্যস্ত সময় পার করেন অনেকে।

আলাপকালে বরিশাল মহাশ্মশান রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক তমাল মালাকার বলেন, ‘২শ বছরের অধিক সময় ধরে চলা এই মহাশ্মশানে দিপাবলী উৎসব এবারও আড়ম্বর পরিবেশে পালিত হবে। এ স্মশানে প্রকৃতির কবি জীবনানন্দ দাশের পিতা সত্যানন্দ দাশগুপ্ত, পিতামহ সর্বানন্দ দাশগুপ্ত, ব্রিটিশ বিরোধী নেতা বিপ্লবী দেবেন ঘোষ, মনোরমা বসু মাসিমাসহ কাঁচা পাকা মিলিয়ে প্রায় ৬৫ হাজার সমাধি রয়েছে। যার মধ্যে ৯শ সমাধি রয়েছে, যাদের স্বজনরা থাকেন ভারতসহ বিভিন্ন দেশে। সেইসব সমাধিগুলোকে হলুদ রঙ দিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছে। পাশাপাশি সমাধিগুলোতে কমিটির উদ্যোগে দিপাবলী উৎসবের দিন সন্ধ্যায় মোমবাতি, ধূপকাঠি ও প্রদীপ প্রজ্বলন করা হবে।

তমাল মালাকার বলেন, ‘এবারের আয়োজনে মহামারির বিষয়টিকে বেশ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। শ্মশানের মূল ফটকেই হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার পাশাপাশি মাস্ক পড়ে শ্মশানে প্রবেশির বিষয়টি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।