গণতন্ত্র নিয়ে কথা বলার কোনো অধিকার রাশিয়ার নেই বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রতিবেশী রাষ্ট্র মালদোভা। রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যে এমন মন্তব্য করল মালদোভা।
শনিবার দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এসব কথা জানিয়েছে। খবর রয়টার্সের।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মূলত মালদোভার ট্রান্সনিস্ট্রিয়া অঞ্চলটি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে রাশিয়ার প্রতি আহ্বান জানানোর পর সম্প্রতি দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে।
ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী মালদোভার ট্রান্সনিস্ট্রিয়া বা ট্রান্সডনিস্ট্রিয়া অঞ্চলটি মূলত একটি রুশ-সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদী এলাকা। রাশিয়া প্রায়ই দাবি করে থাকে, ট্রান্সনিস্ট্রিয়া অঞ্চলে রুশ-ভাষী জনগোষ্ঠীর ওপর নিপীড়নের ঘটনা ঘটছে। যদিও অঞ্চলটিতে রুশ সেনা মোতায়েন আছে।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ কয়েক দিন আগে বলেন, মালদোভান সরকার ‘কিয়েভের পদাঙ্ক অনুসরণ করছে’। এর আগে ট্রান্সডনিস্ট্রিয়া অঞ্চলটি তার অর্থনীতিকে মালদোভান সরকারের ‘চাপ’ মোকাবিলায় সহায়তা করার জন্য মস্কোর সহায়তা কামনা করে।
যদিও ট্রান্সনিস্ট্রিয়া অঞ্চলকে চাপ দেওয়ার অভিযোগকে প্রোপাগান্ডা হিসাবে আখ্যায়িত করে প্রত্যাখ্যান করেছে মালদোভা।
মালদোভার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শনিবার জারি করা এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘পররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যাভরভ এবং ক্রেমলিন সরকারের গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা নিয়ে বক্তৃতা দেওয়ার কোনো নৈতিক অধিকার নেই। যে দেশটি বিরোধী রাজনীতিকদের বন্দি করে এবং তাদের হত্যা করে, অযৌক্তিকভাবে তার প্রতিবেশীদের আক্রমণ করে, তার কাছে রক্ত এবং ব্যথা ছাড়া বিশ্বকে দেওয়ার কিছু নেই।’