আলোকিত রিপোর্ট:
মরদেহ উদ্ধারের পর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমু হত্যা রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ।
পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শিমুকে (৩৫) হত্যার দায় শিকার করেছেন তার স্বামী খন্দকার শাখাওয়াত আলীম নোবেল।
এদিকে পুলিশের জেরায় চাঞ্চল্যকর সব তথ্য দিয়েছেন নোবেল ও তার বন্ধু ফরহাদ।
নোবেলের জবানবন্দির বরাতে পুলিশ জানিয়েছে, গত শনিবার রাতে গ্রিন রোডের বাসায় শ্বাসরোধে হত্যার পরদিন বাল্যবন্ধু ফরহাদকে নিয়ে কেরানীগঞ্জে গিয়ে মরদেহ ফেলে দিয়ে আসেন নোবেল। ফিরে এসে কলাবাগান থানায় স্ত্রী নিখোঁজের ডায়েরি (জিডি) করেন তিনি।
ঢাকা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত সুপার শাহাবুদ্দিন কবির গণমাধ্যমকে বলেন, ‘স্ত্রীকে হত্যার পর সারারাত মরদেহের সঙ্গেই থাকেন নোবেল। পরদিন সকালে বন্ধু ফরহাদকে বাসায় ডাকেন। সকালে তারা ভবনের নিরাপত্তাকর্মীকে নাস্তা আনতে বাইরে পাঠিয়ে একটি বস্তায় করে মরদেহটি গাড়িতে রাখেন। এরপর মরদেহ ফেলার জায়গা খুঁজতে তারা সাভার, আশুলিয়া ও মিরপুর বেড়িবাঁধের দিকে যান। কিন্তু সেখানে সুবিধা করতে না পেরে বিকেলে আবার মরদেহ নিয়ে বাসায় ফেরেন। তারা রাত অবধি অপেক্ষা করে আবার লাশ নিয়ে গাড়িতে করে বেরিয়ে পড়েন এবং কেরানীগঞ্জের আলিয়াপুর মরদেহ ফেলে আসেন।
শনিবার রাতেই শিমুর সঙ্গে শেষ কথা হয় এবং এর পর থেকে তার বোনকে পাওয়া যাচ্ছিল না বলে জানিয়েছেন শিমুর বড় ভাই শহিদুল ইসলাম খোকন।