ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টার সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান ও তার আইটি প্রতিষ্ঠান ‘অ্যাপল সফট আইটি লিমিটেড’-এর সব ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি)।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) এনবিআরের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ফয়সাল করিম মাসুদের প্রতিষ্ঠানটি বেসিস-এর সদস্য।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুর ২টা ২৪ মিনিটের দিকে ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট এলাকায় ওসমান হাদিকে গুলি করা হয়। পেছন থেকে অনুসরণ করে আসা একটি মোটরসাইকেল থেকে এক ব্যক্তি ব্যাটারিচালিত রিকশায় থাকা হাদিকে গুলি করেন। গুরুতর অবস্থায় দ্রুত তাকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে এক দফা অস্ত্রোপচারের পর তাকে নেওয়া হয় এভারকেয়ার হাসপাতালে। সেখানে তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড জানিয়েছে, হাদির অবস্থা এখনো ‘আশঙ্কাজনক’।
গত শনিবার (১৩ই ডিসেম্বর) পুলিশের তরফে সন্দেহভাজন এক হামলাকারীর ছবি প্রকাশ করে তথ্য চেয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ। তার এমন বক্তব্যের পরপরই হাদির আততায়ীকে ধরিয়ে দিতে ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
সতীর্থরা মনে করছেন হামলাকারী মাসুদ হাদির সঙ্গে তার নির্বাচনি প্রচারে ছিলেন। তাদের তোলা প্রচারের কিছু ছবিতে থাকা দুইজনকে তারা ‘আততায়ী’ হিসেবে সন্দেহ করছেন।
অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের তার ফেইবুক পোস্টে বলেন, সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তিকে কয়েকদিন আগে ইনকিলাব সেন্টারেও দেখা যায়। “সিসিটিভি ক্যামেরার ভিডিওতে দেখা যায় তিনি ইনকিলাব সেন্টারে হাদির পাশে বসে আলোচনায় অংশ নেন। সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তির নাম ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান।”
জুলকারনাইন বলেন, মাসুদ ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক নেতা। গত বছর একটি স্কুলে চাঁদাবাজির মামলায় তিনি গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। ওসমান হাদিকে যে মোটরসাইকেল থেকে গুলি করা হয়েছে, সেই বাইকটির মালিক সন্দেহে রোববার সকালে একজনকে পুলিশে সোপর্দ করেছে র্যাব। আব্দুল হান্নান নামের ওই ব্যক্তিকে পল্টন থানায় সোপর্দ করা হয় বলে জানিয়েছেন পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার হারুন অর রশীদ। ওই ব্যক্তি হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক বলে জানিয়েছেন র্যাব-২।
এমইউএম/










