খালেদা জিয়া ‘খুব ক্রিটিক্যাল কন্ডিশনে’, তথ্য প্রকাশে সতর্ক থাকার আহ্বান

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান বলেছেন, খালেদা জিয়া ‘খুব ক্রিটিক্যাল কন্ডিশনে’ চলে গেছেন। গতকাল রোববার রাত থেকে খালেদা জিয়া এ অবস্থায় গেছেন বলে তিনি জানান।

আজ সোমবার বেলা পৌনে দুইটার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে ব্রিফিং করে আহমেদ আজম খান এ কথা জানান।

আজম খান বলেন, ‘গতকাল রাত থেকে ম্যাডাম খুব ক্রিটিক্যাল কন্ডিশনে চলে গেছেন। ফাইট করছেন তিনি আমাদের মাঝে ফিরে আসার জন্য। এখনো অবস্থা ক্রিটিক্যাল আছে। বলবার মতো কোনো কন্ডিশনে এখনো তিনি আসেন নাই। সারা জাতির কাছে দোয়া চাওয়া ছাড়া আর কিছু বলা নেই।’

বিএনপি নেতা আরও বলেন, ‘বর্তমানে খালেদা জিয়া ভেন্টিলেশন সাপোর্টে আছেন। সিসিউ থেকে আইসিউ, এরপরে ভেন্টিলেশন বা লাইফ সাপোর্ট – যাই বলেন। আমি এগুলোর বাইরে বলব যে, ম্যাডাম খুব ক্রিটিক্যাল কন্ডিশনে আছেন।’

খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় আমেরিকা এবং ইংল্যান্ডের চিকিৎসকেরা যুক্ত ছিলেন। এখন চীনের চিকিৎসকেরাও যুক্ত হয়েছেন বলে জানান আজম খান। তিনি বলেন, ‘সবাই মিলে ক্লান্তিহীনভাবে চেষ্টা করছেন। বাদ বাকি আল্লাহ ভরসা।’

এর আগে চেয়ারপারসনের সাবেক প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান সোহেল ফেসবুকে সংক্ষিপ্ত এক স্ট্যাটাসে জানান, ‘ম্যাডামকে আইসিইউতে ভেন্টিলেশনে সাপোর্ট দেওয়া হচ্ছে। আল্লাহর বিশেষ রহমত প্রার্থনা করি।’এই পোস্ট ছড়িয়ে পড়ার পর দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে উদ্বেগ আরও বাড়ে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, চেয়ারপারসনের স্বাস্থ্য-সংক্রান্ত সব সিদ্ধান্ত চিকিৎসকেরা নিয়ে থাকেন। ‘চিকিৎসকেরা আনুষ্ঠানিকভাবে যে মুহূর্তে কোনো তথ্য দেবেন, আমরা তা জানিয়ে দেবো। এর বাইরে কোনো সূত্র থেকে তথ্য প্রকাশ না করার জন্য গণমাধ্যমের প্রতি বিশেষ অনুরোধ করছি,’ বলেন তিনি।শায়রুল আরও জানান, খালেদা জিয়ার চিকিৎসা সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য তথ্য দিতে গণমাধ্যমকে অনুরোধ করা হয়েছে।

‘ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এ. জেড. এম. জাহিদ হোসেন ছাড়া অন্য কোনও বক্তব্য ব্যবহার না করতে অনুরোধ করছি,’ বলেন তিনি। একই সঙ্গে গুজব বা বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান তিনি।

এক সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে শয্যাশায়ী খালেদা জিয়া। তাঁর লিভারজনিত সংকট, কিডনির কর্মক্ষমতা হ্রাস, শ্বাসকষ্টসহ একাধিক শারীরিক জটিলতা একসঙ্গে দেখা দিয়েছে।

২৩ নভেম্বর রাতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন খালেদা জিয়া। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসকেরা জানান, তাঁর ফুসফুসে সংক্রমণ হয়েছে। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার বিএনপির মহাসচিব বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসনের শারীরিক অবস্থা ‘অত্যন্ত সংকটজনক’। পরদিন তিনি বলেন, উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নেওয়ার মতো শারীরিক অবস্থা নেই খালেদা জিয়ার।