ক্রীড়া প্রতিবেদক: চট্টগ্রামে সিরিজের প্রথম ম্যাচে জয় পায়েছিল আয়ারল্যান্ড। তাই সিরিজে টিকে থাকতে শনিবার দ্বিতীয় ম্যাচে জয়ের বিকল্প ছিল না বাংলাদেশের সামনে। এদিন অবশ্য আগের ম্যাচের চেয়ে কম রানেই বাংলাদেশের বোলাররা আটকে রাখে আইরিশদের। পল স্টার্লিংয়ের দল করে ১৭০ রান। সেই রান ২ বল ও ৪ উইকেট হাতে রেখে টপকে যায় বাংলাদেশ। ফলে সিরিজে এখন ১-১ সমতা।
শেষ ৩০ বলে দরকার ৩৩ রানের, হাতে তখনও ৭ উইকেট। তবে ম্যাচ জমে ওঠে সাইফ (১৭ বলে ২২) ও তাওহীদ হৃদয়ের (৬) বিদায়ে। শেষ ১২ বলে ১৬ রান দরকার। ১৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলে নুরুল হাসানকে বোল্ড করেছেন মার্ক অ্যাডাইর। হার চোখ রাঙাতে থাকে। তবে সাইফউদ্দিন ওই ওভারেই ছক্কা ও চার মেরে জয়টা হাতের নাগালে আনেন। সাইফউদ্দিনের ৭ বলে ১৭ ও শেখ মেহেদির ৬ রানে ম্যাচ জেতে বাংলাদেশ। তার আগে রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশও শুরু থেকেই ভালো জবাব দেয়। পাওয়ার প্লেতে ওঠে ১ উইকেটে ৬৬ রান। তার আগে তানজিদ হাসান ব্যক্তিগত ৭ রানে রান আউটে কাটা পড়লে ভাঙে ২৬ রানের উদ্বোধনী জুটি। দ্বিতীয় উইকেটে ৮০ রানের জুটিতে জয়ের পথটা সহজ করেন পারভেজ হোসেন ইমন ও লিটন দাস। তবে ১০ ওভার শেষ হওয়ার দুই বল আগে ইমন ৪৩ রান করে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ দিয়েছেন জর্জ ডকরেলকে। তার ইনিংসে ছিল ৫ চার ও ২ ছক্কা।
শেষ ১০ ওভারে চাই ৮৫ রান। হাতে ৮ উইকেট। একাদশ ওভারে তৃতীয় বলে কাভারে ক্যাচ তুলেছিলেন সাইফ হাসান। পল স্টার্লিং ডান হাতে বলটিকে শুধু ছুঁতে পেরেছেন। শূন্য রানে জীবন পেলেন সাইফ। পরের বলেই বেঁচে গেলেন লিটন দাসও। জীবন পেয়ে লিটন তুলে নেন ফিফটি। ম্যাথু হামফ্রিসকে ছক্কা মেরে ৫০ পেরোন লিটন। ১১৯ ম্যাচের আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে লিটনের এটি ১৬তম ফিফটি। সাত ইনিংস পর এই সংস্করণে ফিফটি করেন লিটন। ৩৭ বলে ৫৭ রান করা লিটন ফেরেন মার্ক অ্যাডাইরের বলে এলবিডব্লু হয়ে। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি বাংলাদেশ অধিনায়ক। এরপর সহজ ম্যাচ কঠিন করে জেতে বাংলাদেশ।
টস জিতে ব্যাট করা আয়ারল্যান্ড উদ্বোধনী জুটিতে ভালো সংগ্রহ পায়। ৫৭ রানের জুটি ভাঙে পল স্টার্লিং (২৯) আউট হলে। পাওয়ার প্লেতে আইরিশরা তোলে ১ উইকেটে ৭৫ রান। টি-টোয়েন্টিতে পাওয়ার প্লেতে আয়ারল্যান্ডের এটি তৃতীয় সর্বোচ্চ স্কোর, বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বোচ্চ। নবম ওভারে দুটি উইকেট নেন শেখ মেহেদি। টিম টেক্টর (২৫ বলে ৩৮) ও হ্যারি টেক্টরকে (১১ বলে ১১) আউট করেন দলে ঢোকা এই স্পিনার। তবে লরকান টাকারের ব্যাটে ভর করে লড়াইয়ের পুঁজি পায় আয়ারল্যান্ড। শেখ মেহেদি ৪ ওভারে ২৫ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট।
