কারাগারে থাকা আলভেসের বিচার শুরু ফেব্রুয়ারিতে

নাইটক্লাবে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে প্রায় এক বছর ধরে কারাগারে থাকা দানি আলভেসের বিচার শুরু হবে আগামী বছর। বিচারের জন্য ফেব্রুয়ারির ৫ থেকে ৭ তারিখ পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করার কথা বুধবার জানিয়েছে স্পেনের আদালত।
বাদী ওই নারীর অভিযোগ, গত বছরের ডিসেম্বরে বার্সেলোনার একটি নাইটক্লাবে তাকে ধর্ষণ করেছিলেন আলভেস। এই অভিযোগে গত জানুয়ারিতে বার্সেলোনায় তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে স্পেনের আদালত তার জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। তখন থেকেই বার্সেলোনার একটি কারাগারে আছেন বার্সেলোনার সাবেক এই ডিফেন্ডার।
স্পেনের গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, নাইটক্লাবে বন্ধুদের সঙ্গে ছিলেন ওই নারী। সম্মতি ছাড়াই আলভেস নাকি তার অন্তর্বাসের নিচের দিকে স্পর্শ করেন। ওই নারীর অভিযোগ, আলভেস তাকে চড় মারেন এবং নাইটক্লাবের বাথরুমে নিয়ে ধর্ষণ করেন।
শুরুতে তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন আলভেস। গ্রেপ্তার হওয়ার দুই সপ্তাহ আগে স্থানীয় টিভি চ্যানেল আন্তেনা থ্রি-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই ফুটবলার বলেছিলেন, ওই নারীকে তিনি চেনেন না। পরে গত এপ্রিলে সাক্ষ্য পরিবর্তন করেন তিনি। স্বীকার করে নেন অভিযোগকারী নারীর সঙ্গে যৌন সম্পর্কের কথা। তবে দুইজনের সম্মতিতে তা হয়েছিল বলে দাবি করেন আলভেস।
বার্সেলোনার একটি আদালত গত অগাস্টে আনুষ্ঠানিকভাবে আলভেসকে অভিযুক্ত করে এবং পরে সিদ্ধান্ত দেওয়া হয় যে, তাকে বিচারের জন্য পাঠাতে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। আলভেসের ৯ বছরের জেল চেয়েছেন স্পেনের এক প্রসিকিউটর।
স্পেনে ধর্ষণের কোনো ঘটনা প্রথমে তদন্ত হয় সাধারণ যৌণ নির্যাতনের অভিযোগ হিসেবে। অপরাধ প্রমাণিত হলে ৪ থেকে সর্বোচ্চ ১৫ বছর কারাদণ্ড হতে পারে।
গ্রেপ্তার হওয়ার পর আলভেসের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে তার তখনকার ক্লাব পুমাস। বার্সেলোনা, ইউভেন্তুস ও পিএসজির মতো ইউরোপের বড় ক্লাবে খেলা এই ডিফেন্ডারের সঙ্গে পরে সম্পর্ক ছিন্ন করে তার স্ত্রী জোয়ানা সানস।
ব্রাজিলের হয়ে আলভেস খেলেছেন ১২৬ ম্যাচ। গত ডিসেম্বরে কাতার বিশ্বকাপে ক্যামেরুনের বিপক্ষে ম্যাচে ব্রাজিলের অধিনায়কত্ব করেন তিনি।