আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ এক ফিলিস্তিনি বন্দির সঙ্গে যৌন সম্পর্কের জেরে উচ্চ নিরাপত্তা জেল থেকে সব নারী গার্ডকে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরায়েল।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ইসরায়েলিদের ওপর প্রাণঘাতী হামলা চালানোর দায়ে আটক এক ফিলিস্তিনির সঙ্গে নারী গার্ডের যৌন সম্পর্ক স্থাপনের তথ্য ফাঁস হয়। এরপর এ ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
পরবর্তীতে জানা যায়, ওই ফিলিস্তিনের সঙ্গে আরও কয়েকজন নারী গার্ড যৌন সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। যে নারী গার্ডের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে, ধারণা করা হচ্ছে তিনি সামরিক বাহিনীতে বাধ্যতামূলক সার্ভিস দিচ্ছিলেন।
প্রত্যেক ইসরায়েলি নারীকে ২ বছর ও পুরুষকে ৩২ মাস বাধ্যতামূলকভাবে সেনাবাহিনীতে কাজ করতে হয়। অভিযুক্ত ওই নারী গার্ড ও ফিলিস্তিনি বন্দি— কারো তথ্যই প্রকাশ করেনি ইসরায়েল। এছাড়া ইসরায়েলি আদালত নির্দেশ দিয়েছে, ওই জেলের নামও যেন প্রকাশ না করা হয়।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম আরও জানিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদে ওই নারী গার্ড জানিয়েছেন, একই ফিলিস্তিনি বন্দির সঙ্গে আরও চার নারী গার্ডের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক চলছিল।
এ বিষয়টি ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর ওই ফিলিস্তিনি বন্দিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার সেল থেকে অন্যত্র স্থানান্তর করা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ইসরায়েলের উগ্রপন্থি জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন-গিভির ঘোষণা দেন, যেসব কারাগারে ‘সন্ত্রাসী ফিলিস্তিনিরা’ আছেন সেখানে আর কোনো নারী সেনা দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না।
তিনি আরও জানিয়েছেন, ২০২৫ সালের মধ্যে এসব জেলে নারী গার্ডের সংখ্যা শূন্যে নামিয়ে আনা হবে।