এম. মতিন, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি।
আইন মানায় বিদেশি চ্যানেলের দেশীয় পরিবেশক অপারেটরদেরকে সাধুবাদ জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। রোববার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা কোনো চ্যানেল বন্ধ করিনি, বন্ধ করার জন্যও বলিনি। বাংলাদেশের আকাশ উন্মুক্ত, এখানে যে কোনো চ্যানেল সম্প্রচার করতে পারে কিন্তু সেটি দেশের আইন মেনে করতে হয়।
তিনি আরও বলেন, যেকোনো ভারত, নেপাল, পাকিস্তাান, শ্রীলংকা, ইউরোপ, আমেরিকাসহ পৃথিবীর অন্যান্য সবদেশেই বিদেশি চ্যানেল বিজ্ঞাপনমুক্তভাবে সম্প্রচারের আইন আছে এবং সেই আইন মেনেই বিদেশি চ্যানেলগুলো সম্প্রচার করে। শুধু আমাদের দেশেই এই আইনকে বছরের পর বছর ধরে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করা হচ্ছিল।
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এই আইন বাস্তবায়নের কথা দু’বছর আগে সংশ্লিষ্ট সবাইকে বলেছিলাম এবং বেশ কয়েকবার তাগাদা দেয়া হয়েছে, নোটিশ করা হয়েছে এবং সবশেষে আগস্টে সবপক্ষকে নিয়ে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি যে পয়লা অক্টোবর থেকে আমরা আইন কার্যকর করবো। আমরা সেটিই করেছি, কোনো চ্যানেল বন্ধ করা হয়নি। কেউ কেউ বলছে ডিজিটালাইড না হওয়া পর্যন্ত এ আইন শিথিল রাখার জন্য। পুরো ভারতবর্ষ তো ডিজিটাল হয় নাই, সে সবদেশেও তো আইন কার্যকর আছে, সেখানে ডিজিটাল হওয়ার আগে থেকেই আইন কার্যকর আছে। সুতরাং আমাদের দেশে আইনকে তোয়াক্কা না করে এ ধরণের অজুহাত তোলার কোনো যুক্তি নেই।’
বিদেশি বেশকিছু চ্যানেল সম্প্রচার অপারেটররা বন্ধ রেখেছে সে বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘তারা যেহেতু সংশ্লিষ্ট চ্যানেল থেকে ক্লিনফিড পায়নি, সেজন্য বন্ধ রেখেছে, সেটাকে আমি সাধুবাদ জানাই। কিন্তু আমরা কোনোটাই বন্ধ করতে বলিনি, আগে থেকেই সময় দেয়া হয়েছিল যাতে করে তারা সংশ্লিষ্ট চ্যানেলগুলোকে ক্লিনফিড পাঠানোর জন্য বলে এবং পাশাপাশি তারাও প্রস্তুতি নেয়। অর্থাৎ দুই বছর সময় দেয়া হয়েছিল। আমি দু’বছর আগে থেকে তাদের সাথে আলোচনা শুরু করেছি। এর আগেও এ আইন বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলাম। সবশেষে সবার সাথে বসেই আমরা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি, আমার কাছে অভিযোগ দিয়েছে, বিবিসি, সিএনএন, আলজাজিরা, এনএইচকে, ফ্রান্স ২৪, রাশিয়া টুডে’সহ প্রায় ২৪টি চ্যানেলের ক্লিনফিড আসে। কিন্তু সেগুলো অনেকে চালাচ্ছেন না, যেটি ক্যাবল অপারেটরের লাইসেন্সের শর্তভঙ্গ। কেউ শর্তভঙ্গ করলে, সেই অপরাধে অভিযুক্ত হবেন।’
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সারাদেশে আমাদের মোবাইল কোর্ট চলমান থাকবে এবং রোববার মন্ত্রণালয়ের সচিব সকল ডিসি ও বিভাগীয় কমিশনারের সাথে অনলাইনে সভা করার কথা রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আইন ভঙ্গের অভিযোগ যেখান থেকে পাওয়া যাবে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।