আলমেরিয়ার বিপক্ষেও হোঁচট খাওয়ার শঙ্কায় পড়েছিল বার্সেলোনা। তবে সের্হি রবের্তোর জোড়া গোলে শেষ পর্যন্ত ৩-২ ব্যবধানে জয় তুলে নেয় জাভির শিষ্যরা। লা লিগায় দুই ম্যাচ পর জয়ে ফিরল কাতালান ক্লাবটি।
বুধবার ঘরের মাঠে রাফিনিয়ার গোলে বার্সেলোনা এগিয়ে যায়। তবে এরপর সমতা টানেন লেও বাপতিস্তাও। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকে রবের্তোর গোলে দ্বিতীয়বার স্বাগতিকরা এগিয়ে গেলে ফের সমতা টানেন এদগার গনসালেস। পরে নিজের দ্বিতীয় গোলে ব্যবধান গড়ে দেন স্প্যানিশ ফুটবলার রবের্তো।
বার্সা ৩৩তম মিনিটে এগিয়ে যায় তারা। রোনালদ আরাউহোর হেড গোলরক্ষক ঝাঁপিয়ে ঠেকালেও বিপদমুক্ত করতে পারেননি, আলগা বল সহজেই খুব কাছ থেকে জালে পাঠান রাফিনিয়া।
তবে ৪১তম মিনিটে স্বাগতিকদের স্তব্ধ করে দেয় আলমেরিয়া। অফসাইডের ফাঁদ ভেঙে সতীর্থের রক্ষণচেরা পাস ধরে ডি-বক্সে ঢুকে লক্ষ্যভেদ করেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড বাপতিস্তাও। অফসাইডের বাঁশি বাজলেও ভিএআরে পাল্টায় সিদ্ধান্ত।
বিরিতর পর ৬০তম মিনিটে রবের্তোর নৈপুণ্যে আবার এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। রাফিনিয়ার কর্নারে দুরূহ কোণ থেকে দারুণ হেডে গোলটি করেন এই স্প্যানিয়ার্ড। অবশ্য এই যাত্রায়ও বেশিক্ষণ এগিয়ে থাকতে পারেনি তারা। ৭১তম মিনিটে ডান দিকের সাইডলাইন থেকে লম্বা করে ফ্রি কিক নেন আরিবাস, ডি-বক্সে জটলার মধ্যে লাফিয়ে বল হাতে নিতে গিয়ে পারেননি গোলরক্ষক ইনাকি পেনা। আলগা বল জালে পাঠান স্প্যানিশ ডিফেন্ডার গনসালেস।
অবশেষে ৮৩তম মিনিটে দারুণ নৈপুণ্যে জয়সূচক গোলটি করেন রবের্তো। লেভানদোভস্কির ক্রসে বল ঊরু দিয়ে নামিয়ে বক্সে ঢুকে নিখুঁত শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন তিনি।
লিগে ১৮ ম্যাচে ১১ জয় ও ৫ ড্রয়ে ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে বার্সেলোনা। তাদের চেয়ে ৪ পয়েন্ট বেশি নিয়ে দুইয়ে এক ম্যাচ কম খেলা রিয়াল মাদ্রিদ। রিয়ালের সমান ১৭ ম্যাচে ৪৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে জিরোনা।