লাইফস্টাইল ডেস্কঃ ঠোঁট ফাটা কিংবা কালচে ভাব দেখতে যতটা না খারাপ তার থেকে বেশি কষ্টকর ফেটে যাওয়া ঠোঁট। হাসি ফুটিয়ে তোলা ঠোঁটে ভেসে ওঠে মলিনতা। তাই ঠোঁটের যত্ন নিতে হবে সব ঋতুতেই। অনেকেই কেবল পেট্রোলিয়াম জেলি কিংবা ভ্যাসলিনে শীতের সুরক্ষা চান ঠোঁটের হাসিতে। এর বাইরেও ঠোঁটের প্রয়োজন আছে বাড়তি যত্নের।
এ সময়ে ঠোঁটের সবচেয়ে বেশি যত্ন নিতে হয়। ঠোঁটের যত্নে সবার আগে প্রয়োজন একে নরম এবং কোমল রাখা। যেহেতু বাইরের আদ্রতা এ সময় কম থাকে তাই বাড়তি কিছু যত্নের প্রয়োজন হয়। এ ক্ষেত্রে অনেকেই ঠোঁটে কেবল লিপ বাম ব্যবহার করে থাকেন। এ লিপ বামের সঙ্গেই কিছুটা ময়েশ্চারাইজার লোশন, আর কয়েক ফোঁটা গ্লিসারিন নিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে নিতে পারি।
রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ঠোঁট হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে পরিষ্কার করে লিপ বাম মিশ্রণটি অ্যাপ্লাই করে পর দিন টাওয়াল দিয়ে হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে পরিষ্কার করে নিতে পারি। এতে ঠোঁট নরম থাকবে পুরো দিন। এর পাশাপাশি আছে ঠোঁটের স্ক্রাব।
এ স্ক্রাবটি তৈরি করতে প্রয়োজন হাফ চা চামচ মধু, হাফ চা চামচ চালের গুঁড়া আর হাফ চা চামচ অ্যালোভেরা জেল, ভালো করে মিশিয়ে স্ক্রাবটি তৈরি করে নিতে হবে। এ মিশ্রণটি ঠোঁটে কিছু সময় রেখে হালকাভাবে ঠোঁটের চারপাশ ম্যাসাজ করে নিতে হবে। সব শেষে হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিতে হবে। এর পরের ধাপে ঠোঁটে ময়েশ্চারাইজার দিতে হবে। এ ময়েশ্চারাইজের ক্ষেত্রে প্রথমে দিতে হবে গ্লিসারিন কিছু সময় রেখে এর পরে লিপ বাম ব্যবহার করতে হবে।
এতে লম্বা সময় পর্যন্ত ঠোঁট নরম আর কোমল থাকবে। এ ছাড়া লিপস্টিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে গ্লিসারিন আর গোলাপ জল মিক্স করে আলাদা রাখতে হবে। লিপস্টিক ব্যবহারের আগে ঠোঁটে এই মিশ্রণটি অ্যাপ্লাই করতে হবে। এর পরে লিপস্টিক ব্যবহার করতে হবে। এতে করে ঠোঁটের আদ্রতাও ঠিক থাকবে আবার ঠোঁট ফাটবেও না আবার লিপস্টিকের কালারেও কোনো পরিবর্তন আসবে না। আর এভাবেই পুরো শীত জুড়ে ঠোঁট থাকবে সুরক্ষিত আর আপনিও থাকবেন সুন্দর ঠোঁটের মিষ্টি হাসির সঙ্গে।