রিপোর্টারঃ নবনীতা
বিনোদন ডেস্কঃ কালের আবর্তে দেশের মিডিয়াতে নতুন তরুণ নির্মাতাদের আবির্ভাব ঘটেছে। তার প্রমাণ বর্তমানে নির্মিত চলচ্চিত্র, ওয়েব সিরিজ গুলো ওটিটি প্লাটফর্মে ঝড় তুলেছে। আলোচনা সমালোচনায় এক রকম দাপিয়েই বেড়াচ্ছে এই নব্য তরুণ নির্মাতাদের কাজগুলো। দেশে এবং দেশের বাইরে সুনাম কুড়াচ্ছে, সেই সাথে উজ্জ্বল হচ্ছে বাংলাদেশের মুখ।
তারই ধারাবাহিকতায় আলোকিত স্বদেশের সাথে কিছু কথা হলো দেশের তেমনই আরেকজন উদীয়মান তরুণ নির্মাতা, নাট্যকার ওয়াহিদ বিন সিরাজের সাথে। ইউকে’র এপেক্স কলেজ থেকে গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করা ৩২ বছরের তরুণ এই নির্মাতার উল্লেখযোগ্য কিছু নির্মাণের মধ্যে রয়েছে- বিজ্ঞাপন-সবসময়ই পাশে (লেকচার ও নিউটন পাবলিকেশন)।
উল্লেখযোগ্য নাটক (মঞ্চ): সাইরেন- A Dark Episode, মশার রাজ্যে মহামারী, দস্যু দৈব দোষী, যুদ্ধান্তর, হেক্সা ট্রাজেডি, রাখালী, চিদ্রূপ ইত্যাদি।
ফিল্ম- কোহিনূর (গল্প ও স্ক্রিনপ্লে), এছাড়া ১৫ টিরও বেশি এনজিও ডকুমেন্টারি নির্মান করেছেন।
বাকিটা তার মুখ থেকেই চলুন জেনে নেই-
প্রশ্নঃ কবে থেকে মিডিয়ায় কাজ করছেন?
উত্তরঃ আমি ২০১৮ সালে ইন্ডিয়া যাই, ত সেখান থেকে আসার পরেই সিদ্ধান্ত নেই মিডিয়াতে কাজ করার। বন্ধুদের নিয়ে একটি প্রোডাকশন হাউজও খুলি। কিন্তু করোনার জন্য থমকে যায় সব কাজ। পরবর্তীতে আবার ধীরে ধীরে শুরু করেছি।
প্রশ্নঃমিডিয়ার কাজের পেছনে কার অনুপ্রেরণা রয়েছে?
উত্তরঃ মূলত আমি ছোটবেলা থেকেই থিয়েটারের সাথে যুক্ত ছিলাম। আমি যখন ক্লাস নাইনে পড়ি তখন থেকেই এক্টিভ ছিলাম থিয়েটারে। পরে দেশের বাহিরে চলে যাই পড়াশুনা করতে। আমি ফিল্ম স্টাডিজের উপর ইউকেতে পড়াশুনা করেছি। আমার স্বপ্ন এবং লক্ষ্য ছিল মিডিয়াতে কাজ করার, ফিল্ম নির্মান করার। আর আমার পরিবার আমাকে অনুপ্রেরণা দিয়েছে, যেহেতু আমার চাচা থিয়রটারের সাথে যুক্ত ছিলেন তাই ছোটবেলা থেকেই আমার ইচ্ছা ছিল, চাচার পথ ধরে হাটার।
প্রশ্নঃ এখন পর্যন্ত কি কি কাজ করেছেন?
উত্তরঃ এখন আমি কাজ করছি বিভিন্ন এনজিও প্রতিষ্ঠানের সাথে। তাদের বিভিন্ন ধরনের ডকুমেন্টারি, প্রোফাইল ভিডিও, এনিমেশন নির্মাণ করছি। ব্র্যাক, এশিয়া ফাউন্ডেশন, ওয়াটার ইট এমন বিভিন্ন এনজিওয়ের সাথে কাজ করেছি। কমার্শিয়াল কাজ কম করা হয়েছে, কিন্ত এখন রেগুলার কাজ করছি, সেই ধারাবাহিকতায় লেকচার ও নিউটন পাবলিকেশনের বিজ্ঞাপনটি করেছি। বিজ্ঞাপনটি দর্শকদের অনেক পছন্দ হয়েছে। পাশাপাশি “কহিনূর” ছবিটি করা হয়েছে। ছবিটিতে অভিনয় করেছেন জাকিয়া বারী মম। এটি ওয়াটার ইট এর একটি প্রোজেক্ট।
প্রশ্নঃ আপনার কোন কাজটি নিজের বেশি ভালো লেগেছে?
উত্তরঃ সত্যি বলতে, সবসময়ই পাশে (লেকচার ও নিউটন পাবলিকেশন) এর একটি ওভিসি করি , এটাই আমার প্রথম কমার্শিয়াল কাজ। ত এখানে ছাত্রী আর শিক্ষককে নিয়ে একটি ছোট গল্পের মধ্যে যে বিষয়টি ফুটে উঠেছিল সেটি দর্শকরাও যেমন পছন্দ করেছে, আমার কাছেও মনে হয়েছে যে এটি আমার “বেস্ট” একটি কাজ। এছাড়া ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের নিয়ে একটি ডকুমেন্টারি করি, সেটাও আমার ভালো লেগেছে।
প্রশ্নঃ আপনার ভবিষ্যত পরিকল্পনা কি?
উত্তরঃ “ফিল্ম”…যেহেতু আমার পড়াশুনা ফিল্ম এর উপর, তাই এটাই আমার এখন স্বপ্ন, পরিকল্পনা বলতে পারেন। কথা চলছে, স্ক্রিপ্টও রেডি, দুইয়ে দুইয়ে চার মিলে গেলেই
কাজে নেমে পড়বো।