বাংলাদেশের আইন কানুন মানতে হবে ফেসবুককে

ফাইল ছবি

ডেস্ক নিউজঃ বাংলাদেশের আইন কানুন ও বিধিবিধান ফেসবুককে মানতে হবে। একে কারো অপকর্মের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে দেয়া যায় না। ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। ফেসবুকে মিথ্যা তথ্য পরিবেশন ও গুজব ছড়ানোসহ এটির অব্যবহারে সৃষ্ট অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি ব্যক্তি সমাজ এবং রাষ্ট্রই কেবল নয় এটি ফেসবুকের জন্যও একটি বড় চ্যালেঞ্জ। কেউ ভুয়া পরিচয় ব্যবহার করে যাতে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলতে না পারে সে বিষয়ে ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

ঢাকায় সোমবার (২৮ আগস্ট) ডাক ভবনে ফেসবুকের সেন্ট্রাল অ্যান্ড সাউথ এশিয়া বিষয়ক পরিচালক শারিম আজিজ এবং বাংলাদেশ বিষয়ক হেড অব পাবলিক পলিসি রেজান সারোয়ারের সাথে বৈঠকে এসব কথা বলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

মন্ত্রী বলেন, ফেসবুক অ্যাকাউন্টের জন্য ব্যক্তির সঠিক পরিচয় যাচাইয়ের ব্যাপারে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন ফেসবুককে সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগিতা করবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পণ্য ক্রয় বিক্রয়ের সুযোগ কাজে লাগিয়ে আমাদের মেয়েরাও উদ্যোক্তা হয়ে ক্ষমতায়িত হতে পারে। কিন্তু তার জন্য আমরা দেশ রাষ্ট্র ও জনগণকে অনিরাপদ হতে দিতে পারি না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় দেশের দুর্গম অঞ্চলসহ সারাদেশে মানুষের দোরগোড়ায় উচ্চগতির ডিজিটাল সংযুক্তি পৌঁছানো হয়েছে।

বাংলাদেশের আইন ও বিধিবিধান মেনে চলা ছাড়াও গুজব, অপপ্রচার, জঙ্গিবাদ, সাম্প্রদায়িকতা, রাষ্ট্রদ্রোহিতা, পর্নোগ্রাফি, জুয়া ও বাংলাদেশের সামাজিক-সাংস্কৃতিক মূল্যবোধবিরোধী কনটেন্ট বন্ধ করার জন্য তিনি আহ্বান জানান।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সাথে প্রথম বৈঠকের ধারাবাহিকতায় গত সাড়ে ৫ বছরে পারস্পরিক সৌহাদ্যপূর্ণ সম্পর্কের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আমরা চাই ফেসবুক আমাদের রিপোর্ট করা সকল কনটেন্ট অপসারণ করুক। ফেসবুকের ভুয়া আইডি ব্যবহার করে সামাজিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাশাপাশি এক শ্রেণির প্রতারকের মাধ্যমে অনেকেই প্রতারিত হচ্ছেন। প্রকৃত পরিচয়পত্র দিয়ে অ্যাকাউন্ট খুলতে পারলে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ সহজেই মোকাবেলা করা সম্ভব বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।