মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় জামতাকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠিয়েছে শ্বশুরবাড়ীর লোকজন। উপজেলার বাউশিয়া ইউনিয়নের পুরান বাউশিয়া গ্রামের মোস্তাফার ছেলে শাহীন মিয়াকে(২৫)সারা শরীরে বেদড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে শ্বশুরবাড়ীর লোকজনের বিরুদ্ধে।
বুধবার(২৫ জানুয়ারি)বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে শাহীন মিয়ার শ্বশুরবাড়ী একই উপজেলার ভবেরচর ইউনিয়নের আলীপুরা গ্রামের দক্ষিণ পাড়ায় এ ঘটনাটি ঘটে।শাহীন মিয়ার চিৎকারে স্থানীয় এলাকাবাসীরা এগিয়ে এসে শ্বশুরবাড়ীর লোকজনের কবল থেকে শাহীন মিয়াকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে।
আহত শাহীন মিয়া জানান,গত কদিন পূর্বে মায়ের অসুখের কথা বলে তার স্ত্রী পিতার বাড়িতে চলে আসেন।আজ বুধবার বিকালে তার স্ত্রীকে নিতে আলীপুরা গ্রামে আসলে বসত ঘরে ঢূকলে দেকতে পায় অন্য একটি পুরুষকে নিয়ে তার স্ত্রী আপত্তিকর অবস্থায় বিছানায় শুয়ে আছে ওরা।দেখামাত্রই তার স্ত্রীর সাথে বাকবিতন্ডায় লিপ্ত হয়।এসময় তার স্ত্রীর সাথে থাকা পুরুষটি ঘর হতে বের হয়ে যায়।পরে শ্বশুর শ্বাশুড়ি ও স্ত্রী উত্তেজিত হয়ে জামাতা শাহীন মিয়াকে লাঠি সোঠা দিয়ে তার সারা শরীরে বেদড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।
অভিযুক্ত শ্বশুর রফিক মিয়া জানান,আমার মেয়ের জামাতা নেশাখোর।কাজকাম কিছুই করে না।গত দুই মাস আগে আমার মেয়েকে মারধর করে শাহীন।স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে সে চলে আসে।দুই মাস ধরে সে কোন খোঁজ নেইনি।আজ এসেই আমার মেয়েকে গালিগালাজ করে মারধর করে।আমরা তাকে মারধর করেনি।গজারিয়া থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক হযরত আলী জানান,এ ঘটনায় কেউ অভিযোগে করেনি।অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।