জেলা প্রতিনিধি, গাইবান্ধাঃ শিশু মাহাদী মিয়া। বয়স সবেমাত্র ৭ মাস। দরিদ্র ঘরে আগমন হৃদযন্ত্রে তিনটি ছিদ্র নিয়ে। ফুটফুটে এই শিশুকে বাঁচাতে বাবা শাহজাহান মিয়া সর্বস্বান্ত। এখন সবার সহযোগিতা প্রত্যাশা করছেন। খুব দ্রুত বিদেশে নিয়ে অস্ত্রপাচার না করলে শিশুটিকে বাঁচানো সম্ভব নয় বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
জানা যায়, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের কুমিড়াডাঙ্গা গ্রামের অটোরিকশা চালক শাহজাহান মিয়ার ঘরে ৭ মাস আগে জন্ম নেয় শিশুপুত্র ইয়াসির আবরার মাহাদী। কিন্তু জন্মের পরপরই শারীরিক নানা জটিলতায় আক্রান্ত শিশুটিকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে জানা যায় তার হৃদযন্ত্রে বিভিন্ন মাপের তিনটি ফুটো রয়েছে। এরপর নিজের সামান্য জমিসহ সকল সম্বল বিক্রি করে সর্বোচ্চ চিকিৎসা করান ঢাকার বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে।
হামপাতালটির চিকিৎসক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) প্রফেসর নূরুন্নাহার ফাতেমা জানান, দ্রুত শিশুটিকে ভারতে নিয়ে গিয়ে অস্ত্রপাচার করাতে হবে। না হলে তাকে বাঁচানো যাবে না।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে ওই শিশুর পিতা শাহজাহান মিয়া বলেন, সন্তানকে সুস্থ করতে বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসাসেবা নিয়েছি। এর খরচ বহন করে সহায় সম্বল হারাতে হয়েছে। এখন মানুষের সাহায্য-সহযোগিতা ছাড়া সন্তানকে বাঁচানো সম্ভব নয়। তাই প্রধানমন্ত্রীসহ দেশের ও প্রবাসের বিত্তবান সহৃদয় মানুষদের প্রতি সহযোগিতা কামনা করছি। সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা- শাহজাহান মন্ডল। বিকাশ নং- ০১৭২৭ ৯২২ ৪৭৩ এবং সোনালী ব্যাংক লি. মহিমাগঞ্জ, গাইবান্ধা শাখার সঞ্চয়ী হিসাব নং- ৫১১১০৩৪০৪২৭৬৪।
এ বিষয়ে মহিমাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম প্রধান বলেন, অসুস্থত শিশুর বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে সহযোগিতার চেষ্টা করা হবে।