গাইবান্ধায় বোরো আবাদ হবে ১ লাখ ২৯ হাজার হেক্টর, চলছে জমি প্রস্তুতি

তোফায়েল হোসেন জাকির,গাইবান্ধা: কৃষির ভাণ্ডার খ্যাত গাইবান্ধায় নানা ফসলের পাশাপাশি কৃষকরা
আবাদ করে থাকে বোরো ধানের। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি মৌসুমে এ জেলায় ১ লাখ ২৯ হাজার হেক্টর বোরো চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি বিভাগ। ইতোমধ্যে জমি প্রস্ততসহ চারা উৎপাদনে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা।
মঙ্গলবার(১০ জানুয়ারি) গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ থেকে এ তথ্য জানানো হয়। ওই লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে ১০০ একর জমিতে সমলয় পদ্ধতিতেও চারা রোপন করা হবে।
জানা জায়, গাইবান্ধার অধিকাংশ মানুষ কৃষির ওপর নির্ভশীল। এ জেলার শতকরা প্রায় ৭০ ভাগ জনসাধারণ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কৃষি ফসল ঘরে তুলে তাদের মৌলিক চাহিদা পুরণে চেষ্টা করে। এখানে ধান-পাট-ভূট্রা ও সবজিসহ বিভিন্ন ধরণের ফসল উৎপাদন হয়ে থাকে। এসবের মধ্যে সবচেয়ে লাভজনক ফসল হচ্ছে বোরো ধান। তাই এবছর সাধারণ চাষাবাদের পাশাপাশি উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে সমলয় পদ্ধিতে বোরো ধানচাষাবাদের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে সরকারি কৃষি প্রণোদনা কার্যক্রমের আওতায় কৃষকরা নতুন মাত্রায় ট্রে-তে চারা উৎপাদন শুরু করছেন।
গোবিন্দগঞ্জের কৃষক নজিম উদ্দিন ব্যাপারী জানান, এ বছর ৫ বিঘা জমিতে বোরো ধান আবাদ করবেন। ইতোমধ্যে চারা উৎপাদন শেষের দিকে। এখন জমিতে গোবর ছিঁটানোসহ হালচাষ দিচ্ছেন।
পলাশবাড়ীর কৃষক মেহেদুল ইসলাম বলেন, বোরো ধান চাষাবাদে আগে কখনো ট্রে-তে ধানচারা উৎপাদন করা হয়নি। এ বছর সমলয় চাষের লক্ষ্যে কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় ট্রে-তে চারা উৎপাদন করা হচ্ছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী হয়তো ভালো চারা ও অধিক ফলন নেয়া যেতে পারে।
সমলয় পদ্ধতি সম্পর্কে উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা তানজিমুল হাসান বলেন, কৃষির সর্বাধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহারে উচ্চ ফলনশীল একই জাত ব্যবহার, ট্রে তে বীজ বপন, কম বয়সের চারা রোপন, চারা রোপনে রাইচ ট্রান্সপ্লান্টার ব্যবহার, সুষম সার ব্যবহার, আইল ফসল, ধান কর্তনে কম্বাইন হারভেস্টার ব্যবহার করে উৎপাদন বাড়ানো, উৎপাদন খরচ সাশ্রয় করা, কৃষি যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে ভরা মৌসুমে কৃষি শ্রমিকের সংকটের সমাধান সম্ভব হবে সমলয় চাষাবাদে।

গাইবান্ধা জেলা কৃষি উপপরিচালক বেলাল উদ্দিন জানান, কৃষকদের লাভবান করতে তাদের প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া কৃষকের সার্বিক সহযোগিতায় কৃষি কর্মকর্তারা মাঠে কাজ করেছে।