আরিফ খান,রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃপটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে শুক্রবার রাত থেকে নিখোঁজ এক শিশুর সন্ধান মেলেনি এখনও। তবে এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আল আমিন নামের একজন আটো চালককে আটক করা হয়। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ওই শিশুকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে খুন করে লাশ নদীতে ফেলে দেওয়ার বিষয়ে প্রাথমিক স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। তবে এখনও সেই লাশের সন্ধান পাওয়া যায়নি। এদিকে, এঘটনায় ফুঁসে উঠেছে এলাকাবাসী। ঘাতক আল আমিনের বিচার দাবিতে রোববার মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে তারা।
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের চরআন্ডা গ্রামে শুক্রবার রাতে নিখোঁজ হয়েছে শিশু লামিয়া আক্তার (১২)। রোববার রাতেও সন্ধান মেলেনি তার। তবে নিখোঁজের পরদিন একটি পুকুরপাড় থেকে তার পায়ের জুতা এবং বিলের মাঝ থেকে গায়ের ওড়না পেয়েছে পুলিশ। এই আলামত পাওয়ার পর লামিয়ার পরিবারের দাবি-তাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। এরপরে লাশ গুম করা হয়েছে।
পরে পরিবারের সেই দাবিই সঠিক হয়। পুলিশ জানায়, লামিয়া নিখোঁজের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আল আমিন (৩৫) নামের এক আটো চালককে আটক করা হয়। প্রাথমিক স্বীকারোক্তিতে তিনি লামিয়াকে স্বাসরোধ করে খুন করে বুড়াগৌরাঙ্গ নদীতে লাশ ফেলে দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
এদিকে, লামিয়াকে খুন করার বিষয়টি স্বীকার করা আটো চালক আল আমিনের ফাঁসির দাবিতে রবিবার বেলা সাড়ে ১১ টায় চরআন্ডা সাগরপাড় বাজারে প্রথম মানববন্ধন করা হয়। পরে সেখান থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে চরআন্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। বিদ্যালয় মাঠেও একটি মানববন্ধন হয়। এসব কর্মসূচিতে লামিয়ার পরিবার, এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, আটক অটো চালক আল আমিন প্রাথমিক স্বীকারোক্তিতে শিশুটিকে ধর্ষণ করার পর শ্বাসরোধ করে হত্যার করে লাশ পানিতে ফেলে দিয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন। এঘটনায় রোববার রাতে রাঙ্গাবালী থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে ।