রানী এলিজাবেথের মৃত্যুতে লন্ডনে বিশ্বের রাষ্ট্রপ্রধানরা

নাসিমুল বারী;

 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন লন্ডনে পৌঁছেছেন, রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্যে অংশ নিতে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা আসতে শুরু করেছেন যুক্তরাজ্যে। রানীর এই শেষকৃত্যে অংশ নিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান সহ প্রায় ৫ শতাধিক অতিথিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিস এবং নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্নসহ কমনওয়েলথের নেতারা ইতোমধ্যেই যুক্তরাজ্যে পৌঁছে গেছেন।

ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, ইতালির প্রেসিডেন্ট সার্জিও মাত্তারেলাও রানির শেষকৃত্যে থাকবেন বলে জানা গেছে। এছাড়া ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকেও রাজপরিবারের সদস্যরা অংশ নিচ্ছেন।

এছাড়া বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে এবং ভারতের প্রেসিডেন্ট দৌপদী মুর্মুও রানির শেষকৃত্যে অংশ নিতে যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।

অনেক অতিথি ওয়েস্টমিনস্টার হলে রানীকে শেষ শ্রদ্ধা জানাবেন এবং ল্যাঙ্কাস্টার হাউজে রাখা একটি শোক বইতে স্বাক্ষর করবেন বলে জানানো হয়েছে।

রোববার বাকিংহাম প্যালেসে রাজা তৃতীয় চার্লস একটি আনুষ্ঠানিক রাষ্ট্রীয় সংবর্ধনায় অংশ নেবেন। অনেক নেতার কাছেই এটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ একসঙ্গে একত্রিত হওয়ার এমন সুযোগ খুব একটা পাওয়া যায় না।

৭০ বছরের শাসনে অসংখ্য স্মৃতি রেখে গেছেন রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ। গত ৮ সেপ্টেম্বর ৯৬ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

রানির শেষকৃত্যের বিস্তারিত বিবরণ এরই মধ্যে প্রকাশ করা হয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালের দিকে রানির মরদেহ ওয়েস্টমিনস্টার প্রাসাদ থেকে ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবিতে নিয়ে যাওয়া হবে।

রাজা তৃতীয় চার্লস ও রাজপরিবারের সদস্যরা কফিনের সঙ্গে সঙ্গে পায়ে হেঁটে যাবেন। রাজকীয় নৌবাহিনীর ১৪২ জন নাবিক একটি কামানবাহী শকটে করে কফিনটি টেনে নিয়ে যাবেন। তখন সেখানে দুই হাজারেরও বেশি আমন্ত্রিত অতিথি উপস্থিত থাকবেন বলে মনে করা হচ্ছে।

সোমবার সকাল ১১টায় শেষকৃত্য শুরু হয়ে দুপুরের ঠিক আগে অনুষ্ঠানটি শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সারা দেশব্যাপী দুই মিনিটের নীরবতা পালন করা হবে।