আলোকিত স্বদেশ ডেস্কঃ
ট্রেলারটি প্রক্যাশ্যে আসার পর থেকেই বাংলাদেশের দর্শকদের বড় একটি অংশ হতাশা প্রকাশ করছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে চলছে তুমুল সমালোচনা।
কান চলচ্চিত্র উৎসবে বৃহস্পতিবার উদ্বোধন হয় বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক ‘মুজিব : একটি জাতির রূপকার’-এর ট্রেলার।
বঙ্গবন্ধু চরিত্রে আরিফিন শুভর কণ্ঠ, ভিএফএক্স, যুদ্ধের দৃশ্যায়ন মনোপুত হচ্ছে না অনেকের কাছেই।
ক্ষুব্ধ নেটিজেনরা সিনেমার নির্মাতা শ্যাম বেনেগালকে নিয়েও করছেন অনেক সমালোচনা।
‘মুজিব : একটি জাতির রূপকার’ ছবির নির্মাতা এমন সব সমালোচনায় বিস্মিত।ট্রেলার দেখেই কেন সবাই হতাশ হচ্ছেন তা বুঝতে পারছেন না তিনি ।
৯০ সেকেন্ডের ট্রেলার দেখে পুরো সিনেমা নিয়ে মন্তব্য করা ঠিক নয়,এমন মন্তব্য করেছেন তিনি।আরও বলেন, কানে ট্রেলারের উপস্থাপনা খুব ভালো ছিল। সেখানে বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী ও তাদের দূত উপস্থিত ছিলেন।
প্রসংগত, পশ্চিমবঙ্গের বাংলার সঙ্গে বাংলাদেশের বাংলার উচ্চারণের পার্থক্য রয়েছে, এটা নিয়ে বাংলাদেশিরা অনেক গর্ব অনুভব করে। সিনেমাতে এসবই আছে। এ কারণে শুধু বাংলাদেশের অভিনেতাদের নিয়ে কাজ করা হয়েছিল এই সিনেমাতে, কারণ তারা বঙ্গবন্ধু মুজিবকে অনেক কাছ থেকে অনুভব করতে পারবে সেজন্য।
ভারতে বায়োপিক নির্মাণে ভূয়সী প্রশংসা অর্জন করেছেন শ্যাম বেনেগাল। ৭০টি প্রামাণ্যচিত্র ও স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন এ নির্মাতা। পদ্মশ্রী, পদ্মভূষণ, দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারসহ নানা পুরস্কার পেয়েছেন ৮৭ বছর বয়সি এ নির্মাতা।
‘নেহরু’ ও ‘নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোস: দ্য ফরগোটেন হিরো’ সিনেমার নির্মাতা তিনি। ১৯৬৭ সালে তার নির্মিত ‘আ চাইল্ড অব দ্য স্ট্রিটস ’ ভূয়সী প্রশংসা অর্জন করেন তিনি।
২০১০ সালে ‘ওয়েল ডান আব্বা’ সিনেমাটি ছিল শ্যাম বেনেগাল পরিচালিত শেষ ফিচার ফিল্ম। জাতির পিতারজীবনীভিত্তিক সিনেমা ‘মুজিব : একটি জাতির রূপকার’ দিয়ে ১২ বছর পর ফিচার ফিল্ম নিয়ে ফিরলেন শ্যাম বেনেগাল।