আলোকিত স্বদেশ ডেস্কঃ
ফেসবুক, ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফুড রিভিউয়ের নামে চলছে এখন নীরব চাঁদাবাজি।
তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, ফুড ব্লগাররা চাহিদা অনুযায়ী টাকা না পেলেই বিভিন্ন রেস্টুরেন্টের নামে শুরু করে নেগেটিভ কনটেন্ট প্রচার।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কয়েকটি পেজ ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন রেস্টুরেন্টের ভিডিও-অডিও তৈরি করে ছোট ছোট অনুষ্ঠান বানিয়ে আপলোড করা হচ্ছে।
এসব কনটেন্টে নিম্নমানের রেস্টুরেন্টকে উপস্থাপন করা হয় দেশের সবচেয়ে ভালো রেস্টুরেন্ট হিসাবে। অন্যদিকে যারা মান বজায় রেখে ব্যবসা করছেন কিন্তু ফুড ব্লগারদের চাঁদা দিচ্ছেন না, তাদের উপস্থাপন এমনভাবে করা হয়-এই ভিডিও দেখলে কেউ আর সেই রেস্টুরেন্টে যাবেন না।
ফুড ব্লগাররা নিয়মিত চাঁদার দাবিতে চালাচ্ছে এ কার্যক্রম। রেস্টুরেন্ট মালিকদের সঙ্গে টাকার চুক্তি হয়ে গেলে নেগেটিভ ভিডিও ডিলেট করে পজিটিভ ভিডিও উপস্থাপন করা হয়। আর এভাবেই চলতে থাকে তাদের নীরব
চাঁদাবাজি। জানা গেছে, এসব ফুড ব্লগারের বিরুদ্ধে কথা বলার মতো সাহস নেই কোনো রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীর। কারণ প্রতিবাদ করলেই নেগেটিভ ভিডিও ভাইরাল করে ব্যবসার লালবাতি জ্বালিয়ে দেবে বলে হুমকি দেয় প্রতিনিয়ত।
গত কয়েক বছর ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসব ফুড ব্লগারদের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীরা।
তাদের কাছে জিম্মি হয়ে আছেন এই খাতের প্রায় সব ব্যবসায়ী। ইউটিউব-ফেসবুকের জন্য ভিডিও তৈরি করা চক্রের সদস্যরা একটি ক্যামেরা ও এডিটিং প্যানেল নিয়ে ছোট্ট অফিস খুলে বিজ্ঞাপন এজেন্সির আদলে ব্যবসা খুলে বসেছে। বিনা পুঁজির ব্ল্যাকমেইলিং ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে সিন্ডিকেট গড়ে তারা চাঁদাবাজি করছে। অন্যদিকে লাইক, শেয়ার ও ভিউ ব্যবসা তো আছেই। পাশাপাশি রেস্টুরেন্ট মালিকদের কাছ থেকেও নিচ্ছে নিয়মিত মোটা অঙ্কের মাসিক চাঁদা।ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীরা।
আবার এসব ব্লগারদের পজিটিভ রিভিউ অনেক রেস্টুরেন্টের ভাগ্য বদলে দেয় বলে বিশ্বাস গুটিকয়েক রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীর। তাই রেস্টুরেন্ট মালিকরা দিনের বেশিরভাগ সময় নজর দিয়ে বসে থাকেন এসব পেজের দিকে।