ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৮৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ৩১ হাজার।
রোববার (১০ মার্চ) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী গাজা উপত্যকায় পরিবারগুলোর ওপর আরও আটটি গণহত্যা চালিয়েছে। এতে করে গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৫ জন নিহত এবং আরও ১৩০ জন আহত হয়েছেন। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ নিয়ে নিহতের মোট সংখ্যা ৩১ হাজার ৪৫ এবং আহতের সংখ্যা ৭২ হাজার ৬৫৪-তে পৌঁছেছে।
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, অনেক মানুষ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে বা রাস্তায় আটকে আছে। উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।
গেল বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের দাবি, এই হামলায় প্রায় ১২০০ নিহত ও দুই শতাধিক ইসরায়েলিকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে গেছে হামাস যোদ্ধারা। এর জবাবে ওই দিনই গাজায় বিমান হামলা ও পরে স্থল অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। পাঁচ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো এ হামলা অব্যাহত আছে।
জাতিসংঘের মতে, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে ভূখণ্ডের ৮৫ শতাংশ বাসিন্দা অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। সেই সঙ্গে অঞ্চলটির ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।
জাতিসংঘ আরও বলছে, দীর্ঘ এ সময় ধরে চলা সংঘাতের কারণে মানবিক সংকটে দিন পার করছেন ফিলিস্তিনিরা। এছাড়াও খাবার, পানি, ওষুধ ও প্রয়োজনীয় মানবিক সহায়তার অভাবে উপত্যকাটির ২৩ লাখেরও বেশি বাসিন্দা চরম ক্ষুধা ও ভয়াবহ অপুষ্টিতে ভুগছেন।
আনাদোলুর খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি বর্বর হামলায় মৃত্যু, অনাহার আর দুর্দশার মোকাবিলা করেই পবিত্র রমজান মাস পালন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে গাজার ফিলিস্তিনিরা।