চলতি মৌসুমে লা লিগার পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে রয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। অন্যদিকে দ্বিতীয় স্থান নিয়ে বার্সেলোনা এবং জিরোনার লড়াইটা বেশ জমে উঠেছে। মায়োর্কাকে ১-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে জিরোনারকে হটিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে কাতালানরা।
শুক্রবার (৮ মার্চ) দিবাগত রাতে ঘরের মাঠে শুরু থেকে দাপট দেখাতে থাকে বার্সেলোনা। চতুর্থ মিনিটে রাফিনিয়ার একটি শট প্রতিহত হয় ডি-বক্সে। বেশির ভাগ সময় পায়ে বল রাখলেও মায়োর্কার ছয় জনের ডিফেন্স লাইনের সামনে সুযোগ তৈরি করতে ভুগছিল বার্সেলোনা।
ম্যাচের প্রথম ১৫ মিনিটে ৭২ শতাংশ সময় বল দখলে রাখলেও একবারের জন্যও প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকের পরীক্ষা নিতে পারেননি রাফিনিয়া-ফেলিক্সরা। এর মধ্যে গুনদোয়ানের পেনাল্টি শট ফিরেয়ে দেন মায়োর্কার গোলরক্ষক।
বল পায়ে দ্রুত গতিতে ডি-বক্সে ঢুকে পড়া রাফিনিয়াকে ডিফেন্ডার মানুয়েল কোপেতে লাথি দিলে পেনাল্টি পেয়েছিল বার্সেলোনা। শুরুতে অবশ্য গোল কিক দিয়েছিলেন রেফারি, পরে ভিএআরের সাহায্য নিয়ে মনিটরে রিপ্লে দেখে স্পট কিকের বাঁশি বাজান তিনি।
কিন্তু লেভানদোভস্কির অনুপস্থিতিতে শট নেন গুনদোয়ান। খুব একটা জোর ছিল না, নিচু ও দুর্বল শট ফেরাতে তেমন একটা অসুবিধা হয়নি সার্বিয়ান গোলরক্ষকের। ফিরতি বলে শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি ইয়ামাল।
২৯তম মিনিটে রাফিনিয়া ও জোয়াও কানসেলোর দুটি শট প্রতিহত হয় মায়োর্কার ডি-বক্সে। ছয় মিনিট পর কাইল লারিনের হেড অনায়াসে ফিরিয়ে দেন বার্সেলোনা গোলরক্ষক মার্ক-আন্ড্রে টের স্টেগেন। পাল্টা আক্রমণে ডি-বক্সের বাইরে থেকে ফেলিক্সের শট বেরিয়ে যায় পোস্ট ঘেঁষে। গোল শূন্য থেকে বিরতিতে যায় দুই দল।
দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমে বড় সুযোগ মিস করে স্বাগতিকরা। ৪৮তম মিনিটে বাঁদিক থেকে ফেলিক্সের শট একজনের পায়ে লেগে জালে জড়াতে যাচ্ছিল। চমৎকার রিফ্লেক্সে সেটি ঠেকিয়ে দেন মায়োর্কা গোলরক্ষক। এর আগে পরে ব্লকড হয় স্বাগতিকদের দুটি শট।
৫৭তম মিনিটে গোল প্রায় পেয়েই যাচ্ছিলেন ইয়ামাল। তার বুলেট গতির শট ফেরে ক্রসবার কাঁপিয়ে! তিন মিনিট পর ফের সুযোগ আসে গিনদোয়ানের সামনে। ডি-বক্সের মাথা থেকে তার দুর্বল শট সহজেই ঠেকান রাইকোভিচ।
৬২তম মিনিটে মাঠে আসেন লেভানদোভস্কি ও ভিতো হকে। বাড়ে বার্সেলোনার আক্রমণের গতি। ১১ মিনিট পর গোল পেয়ে যায় স্বাগতিকরা। ডি-বক্সের বাইরে বল পেয়ে পায়ের কারিকুরিতে ভেতরে ঢুকে যান ইয়ামাল। সঙ্গে লেগে থাকা একজন ও সামনে দেয়াল হয়ে থাকা আরেকজনকে এড়িয়ে চমৎকার বাঁকানো শটে জাল খুঁজে নেন এই তরুণ ফুটবলার
পিছিয়ে পড়ার পর রক্ষণ ছেড়ে আক্রমণে মনোযোগ দেয় মায়োর্কা। কিন্তু সেভাবে কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি তারা। প্রতি-আক্রমণ থেকে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ এসেছিল বার্সেলোনার সামনে। শেষ পর্যন্ত ১-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বার্সেলোনা।
এই জয়ে দুই নম্বরে উঠে এসেছে বার্সেলোনা। ২৮ ম্যাচে ৬১ পয়েন্ট বার্সেলোনার। ২৭ ম্যাচে ৬৬ পয়েন্ট নিয়ে লা লিগার টেবিল টপার রিয়াল মাদ্রিদ। রিয়ালের সমান ম্যাচে ৫৯ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে জিরোনা।