ওপার বাংলার দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চ্যাটার্জি। তার নামের সঙ্গে যেনো বেশ শক্তভাবেই জুড়ে আছে বিতর্ক শব্দটি। একাধিক বিয়ে ও বিচ্ছেদ নিয়ে নিয়মিত তাকে নেটিজেনদের কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়। তবে সেসবে কান দেন না তিনি। নিজের মত করেই কাজ করে যাচ্ছেন।
শ্রাবন্তী সম্প্রতি অংশ নিয়েছেন রাজর্ষি দে পরিচালিত ‘সাদা রঙের পৃথিবী’ সিনেমার প্রচারে। ২৩ ফেব্রুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটি। আলাপের শুরুতেই তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, বসন্ত কেমন কাটছে? জবাবে শ্রাবন্তী বলেন,‘এই বসন্ত শুধু কাজ করেই কাটছে। শো, শুটিং আর নতুন ছবির প্রোমোশন। এখন কাজের সঙ্গেই প্রেম।
নন্দিতা রায়-শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ছবি ‘আমার বস’র কাজ শেষ হয়েছে। যেখানে রাখি গুলজারের সঙ্গে শ্রাবন্তী পর্দা ভাগ করেছেন এই অভিনেত্রী। সেই অভিজ্ঞতা ভাগ করে তিনি বলেন, ভীষণ ভালো অভিজ্ঞতা। এত সুন্দরী, আমি তো ওর দিকে হা করে তাকিয়েই ছিলাম। আমার বাবার বিশাল ক্রাশ উনি। মা–বাবা দুজনেই খুব রোমাঞ্চিত। রাখি গুলজারকে দেখলাম শট শুরু হওয়ার আগে মজা করছেন, কিন্তু শট শুরু হতেই সিরিয়াস। ওই সুইচ অন-অফটা দারুণ পারেন। উনি কিংবদন্তি, ওকে দেখতেই থাকতাম আমি।
কথায় কথায় আসে সমালোচনার প্রসঙ্গও। প্রায়ই কারণে-অকারণে বিদ্রূপের শিকার হন শ্রাবন্তী। যখন এমন সমালোচনা হয়, নিজেকে সামলান কীভাবে? অভিনেত্রীর জবাব, সমালোচনা সবাইকে নিয়ে হয়। যার নাম আছে, তার বদনাম আছে। মানুষ হিসেবে একসময় এগুলো হলে খারাপ লাগত। এত লোকের এতকিছু হয়, কেন আমাকে নিয়েই এমন হচ্ছে, মনে হতো। কারও কারও স্বভাব আছে, লোকজনকে নিয়ে সমালোচনা করার। এখন আর এসবে কিছু যায়-আসে না। কারণ আমি জানি, জীবন খুব অনিশ্চিত। আজ আছি, কাল নেই। বর্তমানে বাঁচি।
‘সাদা রঙের পৃথিবী’ সিনেমায় দ্বৈত চরিত্রে দেখা গেছে শ্রাবন্তীকে। এই প্রথম একই সিনেমায় ইতিবাচক ও নেতিবাচক চরিত্রে দেখা গেছে তাকে। অভিনেত্রী জানালেন, বিধবা পাচার ছবির বিষয়। সিরিয়াস ইস্যু নিয়ে ছবি।