দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট দিয়েছেন হবিগঞ্জ-৪ এর স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। রোববার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৭টা ৫৫ মিনিটে ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে ঠিক ৮টায় নিজ কেন্দ্র ভোট দেন তিনি।
স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের কেন্দ্র ছিল হাজি ইয়াছিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর ও চুনারুঘাট উপজেলা নিয়ে গঠিত হবিগঞ্জ-৪ আসন।
নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, এ আসনে লড়াই করছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী ও ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সায়েদুল হক সুমনসহ আটজন। অপর ছয় প্রার্থী হলেন আবু ছালেহ (ইসলামী ঐক্যজোট), আহাদ উদ্দিন চৌধুরী (জাতীয় পার্টি), মোহাম্মদ আবদুল মমিন (বাংলাদেশ কংগ্রেস), মো. মোখলেছুর রহমান (বিএনএম), মো. রাশেদুল ইসলাম খোকন (বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট), সৈয়দ মো. আল আমিন (বাংলাদেশ কংগ্রেস)।
শিল্প-কারখানা ও চা বাগান অধ্যুষিত এ আসনে মোট ভোটার ৫ লাখ ১২ হাজার ৩০৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৫৭ হাজার ৮৮৪, নারী ২ লাখ ৫৪ হাজার ৪২৩ এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার একজন।
এদিকে, রাজধানীর ধানমন্ডির ঢাকা সিটি কলেজ কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর পরেই ভোট দেন তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল।
রোববার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টায় এ কেন্দ্রে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রথম ভোট দেন।
ঢাকা-১০ আসনে পড়েছে ঢাকা সিটি কলেজ কেন্দ্র ধানমন্ডি, হাজারীবাগ, নিউমার্কেট ও কলাবাগান থানা। এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়ছেন চলচ্চিত্র অভিনেতা ফেরদৌস আহমেদ।
এবার নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ কোটি ৯৭ লাখ। এর মধ্যে ৬ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৯ জন পুরুষ, ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ২০২ জন নারী এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটারের সংখ্যা ৮৫২। মোট ভোটকেন্দ্র ৪২ হাজার ১০৩টি। ভোটকক্ষ ২ লাখ ৬১ হাজার ৯১২টি। ভোট হচ্ছে ব্যালট পেপারে।
ইসির দেওয়া তথ্যমতে, নির্বাচন ঘিরে সারাদেশে পাঁচ লাখ ১৬ হাজার আনসার, এক লাখ ৮২ হাজার ৯১ পুলিশ, ৪৬ হাজার ৮৭৬ বিজিবি, দুই হাজার ৩৫০ কোস্টগার্ড এবং ৭০০ এর বেশি র্যাব টহলে থাকবে। তাদের সঙ্গে ভোটের মাঠে থাকবে সশস্ত্র বাহিনী। এ ছাড়া আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্যরাও মাঠে থাকবে। প্রতিকেন্দ্রে থাকবেন ১৫ থেকে ১৭ জন নিরাপত্তা সদস্য।
এবারের নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ভোট হবে ২৯৯ আসনে। স্বতন্ত্র প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে নওগাঁ-২ আসনের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। নির্বাচনে ২৮টি দল অংশগ্রহণ করেছে। এর মধ্যে দলীয় প্রার্থী ১ হাজার ৫৩৪ জন এবং স্বতন্ত্র ৪৩৬ জন। নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ২৬৬ জন প্রার্থী দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এ ছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৬৫ জন প্রার্থী দিয়েছে জাতীয় পার্টি এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৩৫ জন প্রার্থী রয়েছেন ‘সোনালী আঁশ’ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে আসা তৃণমূল বিএনপি।
এদিকে, বিএনপিসহ ৬০টি দল নির্বাচন বর্জন করেছে। দলটি সরকার পতনের এক দফা দাবিতে দীর্ঘদিন আন্দোলন করে সফলতা না পেয়ে নির্বাচনের দুই মাস আগ থেকে হরতাল-অবোরধের পথ বেছে নেয়। এতে সরকারকে চাপে ফেলতে না পেরে ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়ে গত ২০ ডিসেম্বর ‘অসহযোগ আন্দোলনের’ ডাক দেয় দলটি। পাশাপাশি সরকারকে সকল প্রকার কর, খাজনা, পানি, গ্যাস এবং বিদ্যুৎ বিল দেওয়া স্থগিত রাখার অনুরোধ জানায় দলটি।