প্রিমিয়ার লিগে এভারটনকে ৩-১ গেলে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ চারে ফিরলো ম্যানচেস্টার সিটি।
বুধবার রাতে গুডিসন পার্কে শুরুতে গোল হজম করলেও শেষ পর্যন্ত জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ম্যান সিটি।
আক্রমণ-প্রতি আক্রমণের মাঝেই ২৯তম মিনিটে আঘাত হানে এভারটন। লক্ষ্যে প্রথম শট নিয়েই এগিয়ে যায় তারা। বাঁ দিক থেকে ম্যাকনিলের পাস ছয় গজ বক্সের মুখে পেয়ে ঠাণ্ডা মাথায় নিচু শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন ইংলিশ মিডফিল্ডার হ্যারিসন।
৩৩তম মিনিটে আবারও সিটির রক্ষণে ভীতি ছড়ায় এভারটন। কোনাকুনি শট নেন হ্যারিসন, ডান দিকে ঝাঁপিয়ে কোনোমতে বাঁ হাতের ছোঁয়ায় বল বাইরে পাঠান এদেরসন।
বিরতি থেকে ফিরে এসে দ্বিতীয়ার্ধের সপ্তম মিনিটে অসাধারণ নৈপুণ্যে সমতা টানেন ফোডেন। সিলভার পাস পেয়ে অনেক দূর থেকে বুলেট গতির কোনাকুনি শটে কাছের পোস্ট ঘেঁষে বল জালে পাঠান ইংলিশ মিডফিল্ডার।
৬১তম মিনিটে আলভারেসের ফ্রি-কিক রক্ষণ প্রাচীরের ওপর দিয়ে একটু বাঁক নিয়ে লক্ষ্যেই ছিল, ঝাঁপিয়ে এক হাত দিয়ে বল বাইরে পাঠান পিকফোর্ড।
ওই কর্নারের ফলশ্রুতিতেই খুলে যায় গোলের দুয়ার। ডি-বক্সে জটলার মধ্যে শট নেন নাথান আকে, বল এভারটন মিডফিল্ডার আমাদু ওনানার হাতে লাগলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। সোজাসুজি নেওয়া স্পট কিকে সিটিকে এগিয়ে নেন আলভারেস।
৭৫তম মিনিটে ফের গোল খেতে বসেছিল সিটি। তবে ইংলিশ ফরোয়ার্ড ডমিনিক ক্যালভার্ট-লুইনের কাছ থেকে নেওয়া শট পোস্টের একটু বাইরে দিয়ে যায়।
নিজেদের ভুলে ৮৬তম মিনিটে তৃতীয় গোলটি হজম করে এভারটন। বল ক্লিয়ার করতে ডি-বক্সের বাঁ দিকে বাইরে বেরিয়ে গেলেও ঠিকমতো শট নিতে পারেননি পিকফোর্ড। বল যায় ডিফেন্ডার ব্রানথোয়েটের পায়ে, কিন্তু তিনিও পারেননি দলকে বিপদমুক্ত করতে। তার থেকে বল কেড়ে নিয়ে কোনাকুনি শটে ঠিকানা খুঁজে নেন পর্তুগিজ মিডফিল্ডার সিলভা।
এ জয়ে লিগে ১৮ ম্যাচে ১১ জয় ও ৪ ড্রয়ে ৩৭ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে আছে পেপ গার্দিওলার দল। পাঁচ নম্বরে নেমে যাওয়া টটেনহ্যাম হটস্পারের পয়েন্ট ৩৬। অপরদিকে ১৯ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে ১৭ নম্বরে আছে এভারটন।
১৯ ম্যাচে ৪২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে লিভারপুল। ১৮ ম্যাচে ৪০ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আর্সেনাল। আর ১৯ ম্যাচে ৩৯ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে অ্যাস্টন ভিলা।