বিফলে ফারজানার সেঞ্চুরি, সমতায় দক্ষিণ আফ্রিকা

দেশের বাইরে বাংলাদেশের প্রথম নারী ক্রিকেটার হিসেবে সেঞ্চুরি করেও দলকে জেতাতে পারলেন না ফারজানা হক পিংকি। তার এই অনন্য কীর্তির দিনে প্রথম চার ব্যাটসম্যানের দারুণ ব্যাটিংয়ে তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৮ উইকেটের জয়ে সিরিজে ১-১ ব্যবধানে সমতা আনলো দক্ষিণ আফ্রিকা।
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) পচেফস্ট্রুমে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ফারজানা হকের ১০২ ও ফাহিমা খাতুনের ৪৬ রানে ভর করে ৫০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২২২ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। জবাব দিতে নেমে প্রথম তিন ব্যাটারের তিন ফিফটিতে ভর করে ২ উইকেট হারিয়ে ২৯ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌছে যায় প্রোটিয়া মেয়েরা।
ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিল বাংলাদেশ। এক প্রান্ত আগলে থাকেন ফারজানা। অন্য প্রান্তে দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করেন শামিমা সুলতানা। পাঁচ চারে ৩৬ বলে ২৮ রান করে শামিমা ফিরলে ভাঙে ৪৮ রানের জুটি। দ্রুত ফিরে যান মুর্শিদা খাতুন (৮) ও নিগার সুলতানা জ্যোতিও (১৩)।
দলের দুই গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটারের বিদায়ের পর দলের হাল ধরে থাকেন ফারজানা। ৯০ বলে পঞ্চাশ ছোঁয়ার পর রানের গতি কিছুটা বাড়ান তিনি। ১৬৫ বলে দেখা পান তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারের। ওয়ানডেতে এটি তার দ্বিতীয় সেঞ্চুরি! এর আগে চলতি বছরের জুলাইয়ে মিরপুরে ভারতের বিপক্ষে করেন প্রথমটি।
ফারজানাকে সবচেয়ে ভালো সঙ্গ দেন ফাহিমা। এ দুজন মিলে গড়েন ৯৩ রানের জুটি। এর মধ্যে ফাহিমার অবদান তিন চারে ৪৮ বলে অপরাজিত ৪৬ রান। আর তাতেই লড়াই করার মতো পুঁজি পায় বাংলাদেশ। তবে এই পুঁজিকে মামুলি বানিয়ে ফেলে দক্ষিণ আফ্রিকার মেয়েরা।
রান তাড়ায় দক্ষিণ আফ্রিকাকে দারুণ শুরু এনে দেন লরা উলভার্ট (৫৪) ও টাজমিন ব্রিটস (৫০)। শতরানের জুটি গড়ার পথে দুই ওপেনারই করেন ফিফটি। পরপর দুই বলে তাদের বিদায়েও পথ হারায়নি প্রোটিয়ারা। এরপর আর কোনো উইকেট হারায়নি তারা।
অবিচ্ছিন্ন ১১৭ রানের জুটিতে দলকে লক্ষ্যে পৌঁছে দেন আনেকা বশ ও সুনে লিস। ৬৩ বলে ৭টি চারে ৬৫ রানের দারুণ ইনিংসে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন বশ। ম্যাচ সেরাও হন তিনি। আর ৫৭ বলে ১টি চারে অপরাজিত ৪৭ রান করেন লিস।
বেনোনিতে আগামী শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) মাঠে গড়াবে তৃতীয় ওয়ানডে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ২২২/৪ (ফারজানা ১০২, ফাহিমা ৪৬*)
দক্ষিণ আফ্রিকা: ৪৫.১ ওভারে ২২৩/২ (উলভার্ট ৫৪, ব্রিটস ৫০, বশ ৬৫*)
ফল: দক্ষিণ আফ্রিকা ৮ উইকেটে জয়ী
সিরিজ: তিন ম্যাচের সিরিজ ১-১ সমতা
ম্যাচ সেরা: আনেকা বশ