স্পোর্টস ডেস্কঃ দক্ষিণ আফ্রিকার শুরুটাও হয়েছিল কিছুটা ধীরগতির, এরপর তারা রানের গতি বাড়িয়ে চালিয়েছে ঝোড়ো তান্ডব। সেই সামর্থ্য না হয় বাংলাদেশের নেই, তাই বলে উইকেটটা বিলিয়ে দেওয়ার সামর্থ্যের কথা তো কারও অজানা থাকার কথা নয়। এভাবে মাত্র ৮ বলেই তিন উইকেট হারিয়েছে টাইগাররা। থিতু হতে হতেই ফিরেছেন তানজিদ তামিম, নাজমুল হোসেন শান্ত প্রথম বলটাও খেলতে পারলেন না ঠিকঠাক; সাকিব আল হাসানও খোঁচা দিয়ে কিপারকে ক্যাচ দিয়েছেন!
আগে ব্যাট করে দক্ষিণ আফ্রিকা ৩৮৩ রানের বড় লক্ষ্য দিয়েছিল। সেই রান তাড়ায় দেখে-শুনে শুরু করেছিলেন দুই বাংলাদেশি ওপেনার লিটন ও তানজিদ তামিম। কেউই আক্রমণাত্মক কোনো শট খেলেননি। প্রথম ৫ ওভারে ব্যাকরণ মেনেই খেলার চেষ্টা করেছেন। তাতে রানের গতি খুব একটা বাড়েনি। ফলে প্রয়োজনীয় রানরেট কেবলই বেড়েছে।
এরপর যখন স্ট্রাইকরেট বাড়ানোর পালা, তখনই বাজে বলে আউট তামিম। মার্কো জানসেন দ্বিতীয় ইনিংসের সপ্তম ওভারের প্রথম বলটি লেগ স্টাম্পের বাইরে করেছিলেন। খাটো লেন্থের সেই বলে বাউন্ডারি না পাওয়াটাই যেখানে অবাক করা ব্যাপার, সেখানে নিজের উইকেট বিলিয়ে দিলেন তামিম। হাফ পুল, হাফ হুকের মতো শট খেলতে গিয়ে তার গ্লাভসে লেগে বল জমা পড়ে উইকেটকিপারের হাতে। এর পরের বলেই ফিরেছেন শান্তও। আসরজুড়েই নিজেকে হারিয়ে খোঁজা এই ব্যাটারও জানসেনের খাটো লেন্থের বলের সমাধান খুঁজে পাননি! ডাউন দ্য লেগের বলে ফ্লিক করতে গিয়েছিলেন তিনি। ব্যাট ছুঁয়ে তার ক্যাচও ধরা পড়েছে কিপার হেইনরিখ ক্লাসেনের হাতে।
ইনজুরির কারণে আগের ম্যাচ খেলতে পারেননি টাইগারদের নিয়মতি অধিনায়ক সাকিব। এদিন চারে নেমে ব্যর্থ হলেন তিনিও। আগের ওভারেই জোড়া উইকেট হারানোর পর এবার অধিনায়ককেও হারালো বাংলাদেশ। লিজার্ড উইলিয়ামসের লেন্থ বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে এই ব্যাটারও ক্যাচ দিয়েছেন উইকেটের পেছনে। ফলে ৩১ রান তুলতেই টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারকে হারিয়ে ধুঁকছে টাইগাররা।
এমন দৃশ্য অবশ্য বাংলাদেশের প্রায় প্রতি ম্যাচে দেখা যায়। যেখানে বাংলাদেশি বোলাররা প্রোটিয়া ব্যাটারদের ভুলের অপেক্ষায় কাটাতে হয়েছে আগের ইনিংসে, বিপরীতে টাইগাররা উইকেট বিলিয়ে দিচ্ছেন অনায়াসে। বাংলাদেশের বড় লক্ষ্যের জবাবটা কিছুটা ব্যতিক্রমই বটে!
এর আগে টাইগারদের ‘পাড়ার বোলারের’ পর্যায়ে নামিয়ে এনেছিল প্রোটিয়া ব্যাটাররা। ইনিংসের মাঝপথে সেই ঝড়টা কিছুটা গতি কমালেও, শেষ ১০ ওভারে তারা ১৪৪ রান তোলে। প্রোটিয়া ওপেনার কুইন্টন ডি ককের ব্যাটে সর্বোচ্চ ১৭৪ এবং হেইনরিখ ক্লাসেনের ৯০ রানে ভর করে টোটাল পুঁজিটা দাঁড়ায় প্রায় চারশ ছোঁয়া।