২৫৮ রানের টার্গেট নিয়ে মাঠে বাংলাদেশ দল

ছবি সংগৃহীত

স্পোর্টস ডেস্কঃ সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৯৩ রানে অলআউট হয়ে ৭ উইকেটে হেরে বিদায় নেয় টাইগাররা।

এশিয়া কাপের ১৬তম আসরের ফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখতে হলে আজ শ্রীলংকাকে হারানো ছাড়া বিকল্প পথ নেই টাইগারদের। আজ শনিবার শ্রীলংকার কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।

এমন কঠিন সমীকরণের ম্যাচে শ্রীলংকা এক উইকেটে ১০৮ রান করা দলটি এরপর মাত্র ৫৬ রানের ব্যবধানে হারায় ৪ উইকেট।

একটা পর্যায়ে ৫ উইকেটে শ্রীলংকার সংগ্রহ ছিল ১৬৪ রান। ষষ্ঠ উইকেটে অধিনায়ক দাসুন শানাকাকে সঙ্গে নিয়ে ৫৭ বলে ৬০ রানের জুটি গড়েন সাদিরা সামারাবিক্রমা। এরপর ফের ব্যাটিং বিপর্যয়। শেষ দিকে শ্রীলংকা ৩৩ রানে হারায় ৫ উইকেট।

দলের এই ব্যাটিং বিপর্যয়ে লড়াই করে গেছেন সাদিরা সামারাবিক্রমা ও কুশাল মেন্ডিস। মেন্ডিস ৭৩ বলে ৫০ রান করে আউট হলেও সেঞ্চুরির জন্য লড়াই করে যান সামারাবিক্রমা।

শেষ ওভারে শতরানের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করতে সামারাবিক্রমার প্রয়োজন ছিল ১৭ রান। শেষ ওভারে বল খেলার সুযোগ পেয়েছেন মাত্র ৪টি। তাসকিন আহমেদের করা তৃতীয় বলে চার আর চতুর্থ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে ৭১ বলে ৯৩ রানে পৌঁছে যান তিনি।

শেষ দুই বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করতে সামারাবিক্রমার প্রয়োজন ছিল ৭ রান। পঞ্চম বলটি ডট আর শেষ বলে আউট হলে তার সেঞ্চুরির স্বপ্ন ভেস্তে যায়।

সেঞ্চুরি না পেলেও দলকে চ্যালেঞ্জিং স্কোর উপহার দিতে ৭২ বলে ৮টি চার আর ২টি ছক্কার সাহায্যে ৯৩ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন সামারাবিক্রমা। এছাড়া ৬০ বলে ৪০ রান করেন পাথুম নিশানকা।

বাংলাদেশ দলের হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন দুই পেসার তাসকিন আহমেদ ও হাসান মাহমুদ। ২ উইকেট নেন আরেক পেসার শরিফুল ইসলাম।

টস হেরে প্রথমে ব্যাট করছে স্বাগতিক শ্রীলংকা। ৫.৩ ওভারে দলীয় ৩৪ রানেই লংকান ওপেনিং জুটি ভাঙেন হাসান মাহমুদ। তার শিকার হয়ে ফেরেন লংকান ওপেনার দিমুথ করুনারত্নে। শ্রীলংকান এই টেস্ট অধিনায়ক সাজঘরে ফেরার আগে ১৭ বলে তিন চারে ১৮ রান করেন।

৩৪ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর কুশাল মেন্ডিসকে সঙ্গে নিয়ে দলকে এগিয়ে নেন অন্য ওপেনার পাথুম নিশানকা। দ্বিতীয় উইকেটে তারা ১০৭ বলে ৭৪ রানের জুটি গড়েন। ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা এই জুটি আগেই ভাঙার কথা ছিল। কিন্তু সীমানার কাছে ফিল্ডিং করা শামিম হোসেন কুশাল মেন্ডিসের ক্যাচ ফেলে দেন। যে কারণে আর জুটি ভাঙা হয়নি।

অবশেষে নিশানকা-মেন্ডিসের জুটি ভাঙেন পেসার শরিফুল ইসলাম। তার বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন লংকান ওপেনার। সাজঘরে ফেরার আগে ৬০ বলে ৫টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৪০ রান করেন নিশানকা।

৬৯ বলে ফিফটি পূর্ণ করা লংকান তারকা ব্যাটসম্যান কুশাল মেন্ডিসকেও সাজঘরে ফেরান শরিফুল। তার বলে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে তাসকিন আহমেদের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন মেন্ডিস। তার আগে ৭৩ বলে ৬টি চার আর এক ছক্কায় করেন ৫০ রান।