আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ফ্রান্সের প্যারিসে ১৯৯৭ সালে গাড়ি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছিলেন যুক্তরাজ্যের আলোচিত রাজবধূ প্রিন্সেস ডায়ানা। ওই দুর্ঘটনায় একইসঙ্গে গাড়ির চালক ও তার প্রেমিক ইমাদ এল-দিন দোদিও প্রাণ হারান।
মৃত্যুর মাত্র কয়েকমাস আগে দোদির সঙ্গে প্রিন্সেস ডায়ানার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠেছিল। মৃত্যুর দিন একটি মার্সিডিজ গাড়িতে করে রেস্তোরাঁয় গিয়েছিলেন তারা। কিন্তু সেখানে পাপ্পারাজ্জিদের (ফটোগ্রাফার) কারণে নিজেদের হোটেলের দিকে ফিরে আসতে বাধ্য হন তারা। আর হোটেলে ফেরার সময়ই ভয়াবহ গাড়ি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিলেন এ যুগল।
ওই দুর্ঘটনার পর দোদির বাবা মিশরীয় ধনকুবের মোহাম্মদ আল-ফায়েদ অভিযোগ করেছিলেন, ব্রিটিশ রাজপরিবারের নির্দেশে প্রিন্সেস ডায়ানা ও দোদিকে হত্যা করা হয়েছিল। প্রিন্সেস ডায়ানার মৃত্যু নিয়ে গুরুতর অভিযোগ করা দোদির বাবাও মারা গেছেন।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, দোদির বাবা মোহাম্মদ আল-ফায়েদ গত ৩০ আগস্ট ৯৪ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এর মাধ্যমে দীর্ঘ ২৬ বছর পুত্র হারানোর শোকের ইতি ঘটেছে তার। মিশরীয় এ ধনকুবেরের মৃত্যু হয়েছে বার্ধক্যজনিত কারণে।
মোহাম্মদ আল-ফায়েদ একবার এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, তৎকালীন ব্রিটিশ প্রিন্স ও বর্তমান রাজা— রাজা তৃতীয় চার্লস ডায়ানা ও দোদিকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কারণ তিনি চাননি ডায়ানা কোনো মুসলিমকে বিয়ে করুক।
তবে পরবর্তীতে তদন্তে বেরিয়ে আসে, পাপারাজ্জিদের তাড়া খেয়ে দ্রুত হোটেলে ফিরতে গিয়েই প্রাণ যায় ডায়ানার। তার মৃত্যু হয়েছিল নিছক সড়ক দুর্ঘটনায়।