ঈদুল আজহার টানা পাঁচ দিনের ছুটি শেষে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরুর প্রথমদিনে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ৬ ট্রাকে আরও প্রায় ৪৫ মেট্রিক টন কাঁচা মরিচ ঢুকেছে দেশে। রোববার বন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিকালে আমদানিকৃত ভারতীয় কাঁচা মরিচের তিনটি চালান বেনাপোলে প্রবেশের পর রাতেই তা ঢাকার উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়।
আমদানিকারক ঊষা ট্রেডিংয়ের সিএণ্ডএফ এজেন্ট বেনাপোলের রয়েল এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী রফিকুল ইসলাম রয়েল জানান, এদিন আমদানি হওয়া কাঁচা মরিচ তাদের রপ্তানিকারকরা বনগাঁসহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন বাজার থেকে সংগ্রহ করেছেন।
আমদানি মূল্য ও কাস্টম শুল্ক ছাড়াও পরিবহনসহ দু’দেশের অন্যান্য খরচ মিলিয়ে তাদের ২০ টনের পণ্য চালানটি ঢাকার বাজারে পৌঁছাতে আরও এক লাখ টাকার উপরে গুনতে হবে। সবমিলিয়ে ঢাকার পাইকারের হাতে পৌঁছানো পর্যন্ত আমদানি করা ভারতীয় কাঁচা মরিচের দাম পড়বে ১৫০-১৬০ টাকার মতো। এর সঙ্গে বাজারের টোল ও সামান্য লাভ যোগ করে পণ্য বিক্রি করবেন।
দেশে আসা কাঁচা মরিচের মধ্যে ঢাকার মেসার্স ঊষা ট্রেডিং দুটি ট্রাকে ২০ মেট্রিক টন ও এনএস এন্টারপ্রাইজ দুই ট্রাকে দেড় মেট্রিক টন এবং খুলনার এসএম করপোরেশন দু’টি ট্রাকে ১০ মেট্রিক টন আমদানি করে।
তারা জানান, প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের আমদানি মূল্য শূন্য দশমিক ২১৫ মার্কিন ডলার (২২ সেন্ট)। টাকার অঙ্কে ২৩ টাকা ৯৩ পয়সা। আর প্রতি কেজির বিপরীতে কাস্টম শুল্ক দিতে হয়েছে দশমিক ৫ মার্কিন ডলার (৫০ সেন্ট), যা টাকার অঙ্কে ৩৮ টাকা ৮২ পয়সা।
অর্থাৎ সবমিলিয়ে বন্দরে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম পড়ছে প্রায় ৬২ টাকা। আর ঢাকার আড়তে পৌঁছতে দাম দাঁড়াচ্ছে ১৫০-১৬০ টাকা। এর সঙ্গে কিছু খরচ ও লাভ যোগ হলে প্রতি কেজি মরিচের দাম বড়জোড় ১৭০-১৮০ টাকা হতে পারে। কিন্তু ভারত থেকে আমদানি করা এসব মরিচ কত টাকায় বিক্রি হয় সেটাই দেখার বিষয়।
এদিকে দেশের বাজারে কাঁচা মরিচের মূল্য বৃদ্ধির কারণে ভারত থেকে মরিচ আমদানি করা হচ্ছে। কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, দেশের ঘাটতি ও উচ্চমূল্য ঠেকাতে ভারত থেকে এ পর্যন্ত ৩৬ হাজার ৮৩০ মেট্রিক টন কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার।