জেলা প্রতিনিধি, জাজিরা শরীয়তপুর:
শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার, নৌ ফাড়ির এএসআই মোঃ শহিদুল ইসলাম এর নেতৃত্বে পদ্মা নদীতে চাঁদাবাজি ও ছিনতাই করার সময়, হাতে নাতে ৪ চাদাবাজ ও ছিনতাইকারি আটক।আটককৃতরা হলেন, মোঃ হানিফ মাতবর (৩২),মোঃ অপু শেখ(২৪),মোঃ সুমন মাতবর (২৮), মোঃ নওসিন শেখ(২০)। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১টি ট্রলার ও নগদ ২হাজার টাকা ও শপিং ব্যাগ উদ্ধার করা হয়।
গত শনিবার গোপন খবর আসে, পালেরচর ইউ,পি সামনে পদ্মা নদীর বাবুরচর ট্রলার যোগে অবস্থান করে কতিপয় লোক বিভিন্ন পণ্যবাহী ও বালুবাহী বাল্কহেড হইতে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে, জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করছে।
এই খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক ভাবে, শরীয়তপুর পদ্মা ফাঁড়ির ইনচার্জ তপন কুমারের নির্দেশে, এএসআই মোঃ শহিদুল ইসলাম এর নেতৃত্বে মোঃ মিলন মিয়া, মোঃ আবুল বাশার শেখ, মোঃ আব্দুল আলী মাঝিরঘাট নৌ পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে।অভিযান চলাকালিন, তারা দেখতে পান, এমভি মৌচাক-১,এম নং- ১৩৪৭৪ আরভী এন্টারপ্রাইজ এবং নুরে মক্কা-১,এম নং-৩৪৭৩০ নামক পণ্যবাহী ও বালুবাহী বান্ধহেড হইতে ভয়ভীতি প্রদর্শন করিয়া জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করা হচ্ছে।তখন তারা তাদেরকে চারপাশ থেকে ঘিরে ফেলে আটক করতে সক্ষম হন।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাই ও চাঁদাবাজির কাজে ব্যাবহারকৃত,৩২ হর্স পাওয়ারের একটি ইঞ্জিন চালিত পুরাতন ট্রালের নৌকা, যাহার দৈর্ঘ্য ৩৬ ফুট, প্রস্থ ০৪ ফুট,CHANGCHAI-L32 ইঞ্জিন নং-76035886 ইঞ্জিনসহ নৌকা। মোঃ হানিফ মাতবর (৩২) এর হাতে থাকা একটি সাদা রং এর শপিং ব্যাগের মধ্যে দুই হাজার দুইশত টাকা উদ্ধার করে।
মাঝিরঘাট নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক,তপন কুমার বিশ্বাস বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে আটক কৃত আসামিরা স্বিকার করেন যে পণ্যবাহী ও বালুবাহী বাল্কহেড থেকে তারা দির্ঘদিন যাবৎ চাঁদাবাজি করে আসছে এবং চাঁদা না দিলে তারা নৌযানের চালকদেরকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে মারপিট করত। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ নিয়মে মামলা করে চালান করে দেওয়া হবে।