গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ
সারাদিন হাড় ভাঙা পরিশ্রম শেষে রাতে আরামে ঘুমে ছিলেন পরিবারের সবাই। এরই মধ্যে আগুনের তাপ অনুভূতি হয়। মুহূর্তে ভেঙে যায় ঘুম। ওঠে দেখেন বাড়ির চারদিকে আগুন আর আগুন। চিৎকার-চেচামেচি শুরু করলে ছুটে আসেন এলাকবাসী। আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টায় পুড়ে যায় ঘরসহ আসবাপত্র।
শনিবার (২৮ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১১ টার দিকে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বেলকা ইউনিয়নের রামডাকুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এতে ভষ্মিভূত ওই দুই পরিবারের প্রায় ৮ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, শনিবার রাতে ওই গ্রামের সাইফুল ইসলামের বাড়িতে হঠাৎ করে বিদ্যুতের সর্ট সার্কিট থেকে এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ঘটে। এসময় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের লোকজন ঘুমে ছিল। ঘুম থেকে জেগে আগুন দেখতে পেয়ে চিৎকার চেচামেচি শুরু করেন। এতে স্থানীয় লোকজন ছুটে প্রায় ঘন্টাখানেক চেষ্টা করে আগুন নেভাতে সক্ষম হয়। তবে নিমিষেই দুই পরিবারের আসবাবপত্র, ধান-চাল, কাপড়-চোপড়, টাকা পয়সাসহ ৫ টি টিনসেট ঘর ভষ্মিভূত হয়।
এ ঘটনায় সাইফুল ইসলামের ৩টি ঘর, তার ছেলে রুবেল মিয়ার ২টি ঘরসহ দুই পরিবারের সব কিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে দুই পরিবারের প্রায় ৮ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত সাইফুল ইসলাম কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, আগুনে হামার সগ শ্যাষ হয়য়া গেলো। সারাজীবনে যেললে কামাই করছিনো তাও গ্যালো। তিনদিন আগোত একটা এনজিও থাকি দুই বাপ-বেটা টাকা তুলছি সেটাও আগুনোত পুড়ি গেলো। সোগ মিলেয়ে ৮-৯ লাখ ট্যাকার মালামাল পুড়িয়ে ছাই হইছে বাবা।
এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বেলকা ইউনিয়নের পরিষদে (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. ইব্রাহীম খলিলুল্যাহ বলেন, আজ সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্ত দুই পরিবারকে আপাতত কম্বল দেয়া হয়েছে।