আরিফ খান,(পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের চরআন্ডা গ্রামে শুক্রবার রাতে নিখোঁজ হয়েছে শিশু লামিয়া আক্তার (১২)। দুইদিনেও সন্ধান মেলেনি তার। তবে নিখোঁজের পরদিন একটি পুকুরপাড় থেকে তার পায়ের জুতা এবং বিলের মাঝ থেকে গায়ের ওড়না পেয়েছে পুলিশ। এই আলামত পাওয়ার পর লামিয়ার পরিবারের দাবি তাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। এরপরে লাশ গুম করা হয়েছে।
জানা গেছে, নিখোঁজ লামিয়া চরআন্ডা গ্রামের আবু তালেব মৃধার মেয়ে। ২০২০ সালে চরআন্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে সমাপনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে দুই বছর পড়ালেখা থেকে বিরত ছিল। নিখোঁজ লামিয়ার পরিবার ও স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার বিকেলে বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরের সাগরপাড় বাজারে রসদ (নিত্যপ্রয়োজণীয় পণ্য) কিনতে গিয়েছিল সে। কাচা মরচি, শেম্পুসহ অন্যান্য রসদ নিয়ে সন্ধ্যা ৬ টার দিকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনাও দিয়েছিল লামিয়া। এরপর থেকেই সে নিখোঁজ হয়।
স্থানীয়রা জানায়, লামিয়া নিখোঁজ হওয়ার একদিন পর শনিবার দুপুরে চরআন্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকার একটি পুকুর পাড় থেকে তার পায়ের একটি জুতা আর বাজার থেকে কেনা রসদ এবং খাল সংলগ্ন বিলের মাঝে পাওয়া যায় ওড়না। লামিয়ার উদ্ধার হওয়া ওই ওড়ানায় প্রচুর লালা দেখতে পেয়েছেন তারা। এতেই ধর্ষণ-খুন আর গুমের সন্দেহ হয় পরিবার ও এলাকাবাসীর।
এ ব্যাপারে রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, ‘লামিয়া নিখোঁজের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আল আমিন নামের এক আটো চালককে আটক করা হয়েছে।