দিনাজপুর শহর খাদ্য ব্যবস্থাপনা কে উন্নত ও পুষ্টিকর খাদ্য সমৃদ্ধ করে গড়ে তুলতে ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ইং তারিখে উপ-পরিচালকের কার্যালয়, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, খামারবাড়ি, দিনাজপুর-এর সম্মেলন কক্ষে সিনজেনটা ফাউন্ডেশন ফর সাসটেইনেবল এগ্রিকালচার, বাংলাদেশ-এর সহযোগিতায় ইকো-সোশ্যাল ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইএসডিও) এর বাস্তবায়নে “নিউট্রিশন সেনসিটিভ ভ্যালুচাইন ভ্যালিডেশন”শীর্ষক ওয়ার্কশপ আয়োজন করা হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দিনাজপুর জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, খামারবাড়ি – এর উপ-পরিচালক জনাব মোঃ নুরুজ্জামান বলেন, সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতকরণে নিজেদের খাবার উৎপাদনে গেলে সুষম পুষ্টি, মেধাবিকাশ ও জাতি গঠনে সহায়তা করবে যার একটি উদাহরণ হলো ছাদ বাগানের মাধ্যমে উৎপাদন।
ইএসডিও-নাইস প্রজেক্টের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর, প্রত্যয় চ্যাটার্জ্জী স্বাগত বক্তব্যে ওয়ার্কশপে সকলের স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে উদ্দেশ্য সফল করার আশা ব্যক্ত করেন।
ওয়ার্কশপের উদ্দেশ্য এবং নাইস প্রকল্প সম্পর্কে বিস্তারিত সকলকে অবহিত করেন মোঃ মোশফেকুল আলম তালুকদার, প্রজেক্ট ম্যানেজার ও মোঃনাসিরউদ্দিন, ফিল্ড কো-অর্ডিনেটর, নাইস প্রজেক্ট, সিনজেনটা ফাউন্ডেশন ফর সাসটেইনেবল এগ্রিকালচার, বাংলাদেশ।
ওয়ার্কশপের মূল কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করেন নিরাপদ খাদ্য অফিসার, চিরিরবন্দর, দিনাজপুর সদর ও বিরল উপজেলার কৃষি, মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ প্রধান, শহরখাদ্য ব্যবস্থায় জড়িত যুব ও নারী দলের প্রতিনিধি, কাঁচা বাজার সমিতি প্রতিনিধি, বিভিন্ন স্কুল-কলেজের প্রধান শিক্ষক ও অধ্যক্ষবৃন্দ, ইএসডিও-নাইস প্রকল্পের উন্নয়ন কর্মীবৃন্দ। করলা, শশা, মিষ্টিকুমড়া, বেগুন, সজিনা, টমেটো, জিংক সমৃদ্ধ ধান, আম, ডিম- এই ৯টি ফসলকে পুষ্টিগুণ বিবেচনায় উক্ত কর্মশালার মাধ্যমে নির্বাচিত করা হয়। ইএসডিও-নাইস প্রকল্পের বেলতলি ফারমার্স হাবের আওতার ১০ কেজি নিরাপদ উপায়ে উৎপাদিত বেগুন বিক্রয় করা হয়।
বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ং সম্পুর্ণতা অর্জন করেছে। নিরাপদ ও মানসম্পন্ন খাবার নিশ্চিতকরণে বাড়িতে প্রস্তুত খাবার খেতে হবে, তার জন্য সকলকে নিরাপদ খাবার ও পুষ্টি সম্পর্কিত ধারণা দিতে পারলে সকলেই সফল হতে পারবো বলে ওয়ার্কশপের সমাপ্তি ঘোষণা করেন সভার সভাপতি দিনাজপুর জেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রক জনাব মোঃ কামাল হোসেন।