সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি;
সুনামগঞ্জের শাল্লায় উপজেলায় বাহারা ইউনিয়নে এক কিশোরীকে এনে ইউনিয়ন পরিষদের কক্ষেই ধষর্ণ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে চেয়ারম্যান আর তার এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে।
অভিযুক্তরা হল,উপজেলার বাহাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিশ্বজিত চৌধুরী নান্টু ও মেম্বার দেবব্রত দাস।
তাদের বিরুদ্ধে কিশোরী শাল্লা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। এই ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকার ব্যাপক আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠেছে। অভিযুক্ত চেয়ারম্যান ও মেম্বারের কঠিন শাস্তির দাবী জানান।
বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সাড়ে রাত ৮টায় সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার বাহাড়া ইউনিয়ন পরিষদের কক্ষে ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়,উপজেলার বাহাড়া ইউনিয়নের বাহাড়া গ্রামের মলয় দাসের সঙ্গে ওই কিশোরীর দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক থাকার অবস্থায় প্রেমিক মলয় ঐ কিশোরীকে রেখে অন্য এলাকায় বিয়ে করার প্রস্তুতি নেয়। এই খবর জানতে পেরে গত বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সাড়ে রাত ৮টায় ওই কিশোরী মলয়ের বাড়িতে যায়। মলয়ের অভিভাবকেরা বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বিশ্বজিত চৌধুরী নান্টুকে জানায়। চেয়ারম্যান বিশ্বজিত চৌধুরী মলয়ের বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি সমঝোতা করে দেওয়ার কথা বলে কিশোরীকে রাতেই তাঁর অফিসে নিয়ে যায়। পরে চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য দেবব্রত দাস মাতবর মিলে ওই কিশোরীকে রাতভর ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ করেছে কিশোরী ও তার পরিবার। ঘটনার পর দিন সকালে ওই কিশোরী শাল্লা থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়ে বাড়িতে চলে যায়।
কিশোরীর পরিবার আত্নীয় স্বজনরা জানায়, “মলয়ের বাড়ি থেকে গত রাতে বাহাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিশ্বজিত চৌধুরী নান্টু ও মেম্বার দেবব্রত দাস তাদের পরিষদে নিয়ে যায়। পরে জানতে পারি চেয়ারম্যান বিশ্বজিত চৌধুরী নান্টু ও মেম্বার দেবব্রত দাস দুজনে মিলে রাতভর ধর্ষণ করেছে আমাদের মেয়েকে। আমরা এর কঠিন বিচার চাই “।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে ইউপি চেয়ারম্যান বিশ্বজিত চৌধুরী নান্টু ও ইউপি সদস্য দেবব্রত দাসের সাথে কোন ভাবেই যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম জানান,ঘটনাস্থল পরিদর্শনে করেছি। এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।