আলোকিত স্বদেশ ডেস্কঃ
কেকের আকস্মিক মৃত্যুর পেছনের কারণ কী?তাহলে কি আয়োজনেই গলদ ছিল? এই বিষয় নিয়ে জানতে চাইলে একজন প্রত্যক্ষদর্শীর ভাষ্য মতে, চূড়ান্ত অব্যবস্থাপনা ছিল অনুষ্ঠানের আয়োজকদের তরফে। এমনকি, অনুষ্ঠানে ঢোকার আগে ইট, পাথর, কাঁচ ছোঁড়া হয়। আয়োজকদের সঙ্গে হাতাহাতিতেও জড়িয়ে পড়ে কনসার্ট দেখতে আসা জনতা।
যারা কনসার্ট দেখতে আসেন তাদের অনেকের কাছেই পাস ছিল। কেউ কেউ বিনামূল্যেও পাস পেয়েছিলেন। আবার অনেকেই পাঁচ হাজার টাকা দিয়েও অনুষ্ঠানের টিকিট কিনেছিলেন। কিন্তু অনুষ্ঠান শুরুর আগে পাস ছাড়াই অনেকে নজরুল মঞ্চে ঢুকে গিয়েছিলেন। ফলে আয়োজকদের সঙ্গে শুরু হয়ে যায় ধাক্কাধাক্কি। ফলে অনেকেই আহত হন। এমনকি, অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রের মাধ্যমে ভিড় ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করেছিলেন আয়োজকরা।
অনুষ্ঠান শুরু হয়ে যাওয়ার পরে অবশ্য সেরকম বিপত্তি ঘটেনি। কিন্তু প্রচণ্ড ভিড়ের ফলে ক্রমশ গরম বাড়তে থাকে হলের ভেতর। এসি চালানো হয়েছিল হয়তো। কিন্তু তাতেও প্রচণ্ড গরম লাগছিল সকলের। কনসার্টে থাকা দর্শকদের বরাত দিয়ে জানা যায় , ‘কেকে বারবার বলছিলেন, পেছন দিকের আলো নিভিয়ে দিতে। কারণ আলোর ফলে বেশি গরম লাগছিল। কিন্তু বারবার বলা সত্ত্বেও আলো নেভানো হয়ন
প্রচণ্ড গরমের কারণেই ভীষণ ঘামছিলেন কেকে। বারবার জল খাচ্ছিলেন। অসুস্থ বোধ করলেও মঞ্চে কেকে-কে দেখে মনেই হয়নি তিনি শারীরিক দিক থেকে অসুস্থ বোধ করছেন।
প্রসঙ্গত, গতকাল কেকের শোয়ের আগেই বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন গায়ক রূপঙ্কর বাগচি। তিনি বলেছিলেন, ‘অনেক বাঙালি শিল্পী রয়েছেন যারা কেকের থেকে ভালো গান করেন। তাদের নিয়ে কেন এত মাতামাতি হয় না!’ যদিও তিনি জানতেন না, সেই উন্মাদনার ফলাফল এতোটা ভয়াবহ বিয়োগান্তক হবে।
পশ্চিমবঙ্গের বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. কুনাল সরকার কাছ থেকে জানা যায়, , দক্ষিণ কলকাতায় ৪টি হাসপাতাল থাকলেও, কেকে কে নিয়ে যাওয়া হয় মধ্য কলকাতায় একটি হোটেলে। সেখানে একটা অসুস্থ মানুষকে বেশ খানিকক্ষণ রেখে তারপর নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। আর্টিস্টদের জীবন ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। সময় নষ্ট করা হলো,এটা কলকাতার জন্য খুব লজ্জার দিন। ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের সার্বিক ব্যর্থতা।
হিন্দি, তামিল, বাংলাসহ একাধিক ভাষায় গান গেয়ে কোটি মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছিলেন বলিউড গায়ক কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ। ভক্তরা যাকে কেকে নামেই সম্বোধন করেন। মঙ্গলবার (৩১ মে) সবাইকে শোকে ভাসিয়ে ৫৩ বছর বয়সে চলে গেলেন না ফেরার দেশে। কলকাতার নজরুল মঞ্চে গাইতে এসে অসুস্থ হয়ে মারা যান তিনি।