আলোকিত স্বদেশ রিপোর্ট:
বীমা কোম্পানির আইন অনুযায়ী, কোনো কোম্পানিকে রেকর্ড ডেটে গণনা করা শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে লভ্যাংশ দিতে হয়। সেই হিসেবে সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের বোর্ড শেয়ারহোল্ডারদের সংখ্যা গণনা করে এবং তাদের মধ্যে লভ্যাংশ বণ্টন করে।
একই সঙ্গে যেহেতু কোম্পানির আইপিওতে অনেক বিনিয়োগকারী কোম্পানিটির শেয়ার কিনে বিনিয়োগ করেছেন। সে জন্য নতুন বিনিয়োগকারীদেরও প্রায় দুই কোটি টাকা লভ্যাংশ দিয়েছে সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স। কোম্পানি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি ২০২১ সালে প্রাথমিক পাবলিক অফারে (আইপিও) আসার পর পুনরায় তার ১ লাখ ৫৩ হাজার শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে ১ কোটি ৯০ লাখ টাকার অতিরিক্ত লভ্যাংশ বিতরণ করেছে।
নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশনা অনুযায়ী কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় অতিরিক্ত পরিমাণ লভ্যাংশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এর আগে কোম্পানিটি ৩১শে ডিসেম্বর, ২০২০-এ শেষ হওয়া বছরের জন্য সমস্ত উদ্যোক্তাশেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল।
কোম্পানির মূল্যায়ন অনুসারে রেকর্ড তারিখে ২০২১ সালের জুন মাসে সকল উদ্যোক্তাশেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে ২ কোটি ৮৫ লাখ টাকার লভ্যাংশ বিতরণ করেছে সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স।
এ ছাড়াও সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স বোর্ড ২০২১ অর্থবছর এর জন্য কোম্পানির প্রশংসনীয় পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে ৪ই আগস্ট সেট করা রেকর্ড তারিখ অনুসারে সম¯ত্ম শেয়ার হোল্ডারদের জন্য ২ শতাংশ অন্তর্বর্তীকালীন নগদ লভ্যাংশের সুপারিশ করেছিল। বীমার নিয়মানুযায়ী, কোনো কোম্পানিকে রেকর্ড ডেটে গণনা করা শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে লভ্যাংশ দিতে হয়। সেই হিসেবে সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের বোর্ড শেয়ার হোল্ডার দের সংখ্যা গণনা করে এবং তাদের মধ্যে লভ্যাংশ বণ্টন করে।
ইতিমধ্যে যেহেতু কোম্পানির আইপিওতে যোগদানের প্রক্রিয়াটি প্রক্রিয়াধীন ছিল এবং এটিও ২০২১ সালের জুনের মধ্যে সম্পন্ন হয়েছিল, অনেক বিনিয়োগকারী সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স এর শেয়ার কিনে বিনিয়োগ করেছেন।নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ তখন সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কর্তৃপক্ষকে অনুপাত অনুসারে নতুন যুক্ত বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের লভাংশের সমপরিমান অর্থ্যাৎ ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিতে নির্দেশনা দেয়। কোম্পানি BSEC-এর সুপারিশকৃত নির্দেশনাকে সম্মান করে এপ্রিল ২০২২ ইং তারিখে উক্ত লভ্যাংশ নতুন শেয়ারহোল্ডার দের মধ্যে বিতরণ করে।
এ প্রসঙ্গে কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মীর রাশেদ বিন আমান বলেন, ‘তাদের কোম্পানি সব সময় বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ বজায় রাখে। সে কারণেই আইপিওর প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পরপরই বিপুল সংখ্যক বিনিয়োগকারী সোনালী লাইফের শেয়ার কিনে নেয়। এটি কোম্পানির মূল্যায়ন অনুযায়ী রেকর্ড তারিখের সাথে মিলে গেছে। নতুন যুক্ত হওয়া সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে লভ্যাংশ প্রদানের বিষয়ে প্রশ্ন উঠলে, সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স বোর্ড তাদের লভ্যাংশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।একই সময়ে বিএসইসিও আমাদের লভ্যাংশ প্রদানের নির্দেশনা দিয়েছে। তাই শেষ পর্যন্ত আমরা এটা করতে পেরেছি।’
জানা গেছে, সোনালী লাইফ হল প্রথম কোম্পানি যার শেয়ার নতুন চালু হওয়া প্রো-রাটা ভিত্তিতে বরাদ্দ করা হয়েছে। কোম্পানিটি নির্ধারিত মূল্য পদ্ধতি তে ১৯ মিলিয়ন সাধারণ শেয়ার ইস্যু করে পুঁজিবাজার থেকে ১৯০ মিলিয়ন টাকা উত্তোলন করেছে।
কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ৪৭৫ মিলিয়ন, অনুমোদিত মূলধন ১ বিলিয়ন এবং মোট সিকিউরিটির সংখ্যা ৪৭ দশমিক ৫০ মিলিয়ন।স্পন্সর পরিচালকরা কোম্পানিতে ৫৪.৫৮ শতাংশ শেয়ারের মালিক যেখানে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা ৪.৩৭ শতাংশ এবং সাধারণ জনগণ ৪১.০৫ শতাংশের মালিক।