করোনা মহামারিতে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিগণ সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ

 আলোকিত স্বদেশ রিপোর্ট:

বাংলাদেশ সহ পাঁচটি দেশের তিনটি গবেষণায় প্রতিবন্ধী ব্যক্তি এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সংগঠন (ওপিডি) এর উপর কোভিড-১৯ মহামারীর ভয়াবহ প্রভাবের চিত্র তুলে উঠেছে।

ফরেন, কমনওয়েলথ্ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস (এফসিডিও) এর ইনক্লুসিভ ফিউচার উদ্যোগের অংশ হিসাবে পরিচালিত গবেষণাটি ভবিষ্যতে সরকার এবং মহামারিতে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য পরিকল্পনা সম্পর্কে তথ্য উপাত্ত সরবরাহ করেছে। বাংলাদেশে পাঁচটি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সংগঠন  এ গবেষণা কাজে সম্পৃক্ত ছিল।

আজকের এই গবেষণাপত্র ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানটি সাইটসেভার্স, ডিসঅ্যাবিলিটি ইনক্লুসিভ ডেভেলপমেন্ট (ডিআইডি) এবং ইনক্লুসিভ ফিউচারস যৌথভাবে আয়োজন করে। অনুষ্ঠানের মূল লক্ষ্য ছিল গবেষণার ফলাফলসমূহ মূল স্টেকহোল্ডারদের সাথে শেয়ার করা এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা যাতে উন্নয়নমূলক কাজে পিছিয়ে না থাকে তা নিশ্চিত করার জন্য সংলাপে উৎসাহিত করা।

গবেষণার মূল ফলাফলসমূহ:

১.         প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সংগঠনসমূহকে কোভিড-১৯ মহামারীতে সরকারের পরিকল্পনায় এবং প্রতিক্রিয়ায় অনেকাংশে বাদ পড়েছে। টঘ ঈজচউ বা ইউএনসিআরপিডি-এর মতে যে মানবিক জরুরী পরিস্থিতিতে সরকারকে অবশ্যই প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সুরক্ষা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

২.    প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের এবং তাদের সংগঠনসমূহকে কোভিড-১৯ এর পরিকল্পনা এবং কর্মকান্ডে থেকে বাদ দেওয়ার ফলে তাদেও উপর চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে৷ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিগণই কোভিড-১৯ এ সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ, বিশেষ করে নারী এবং শিশু প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা।

৩.         সরকারি তথ্যের অপ্রাপ্ততা এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নিবন্ধন প্রক্রিয়া জটিল হওয়ার কারণে অনেক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিগণ সরকারি সুবিধা পাচ্ছে না।

৪.         প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সংগঠনসমূহ মহামারীর সময়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

৫.         মহামারীর সময়ে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সংগঠন, সরকার এবং সুশীল সমাজের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদী, সহযোগিতামূলক সম্পর্কের বিশাল গুরুত্ব রয়েছে।

গবেষণায় প্রতিবন্ধী ব্যক্তি এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সংগঠনসমূহের সাথে পরামর্শ করার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেওয়া হয়েছে, বিপর্যয় মোকাবেলায কেউ পিছিয়ে না থাকে তা নিশ্চিত করার জন্য প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সঠিক সংখ্যা নির্ণয় এবং ব্যবহার করা এবং প্রবেশযোগ্য তথ্য নিশ্চিত করার বিষয় উঠে এসেছে।

“আমরা যে প্রতিবন্ধী ভাতা পাই তা আমাদের দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার জন্য যথেষ্ট ছিল না।”- গবেষণায় একাধিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তি এই মন্তব্য করেছেন।

গবেষণা প্রকাশ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রতিবন্ধী ব্যক্তিগণ এবং তাদের সংগঠনসমূহের প্রতিনিধিবৃন্দ, জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক মো. নজরুল ইসলাম, এবং সাইটসেভার্স বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর অমৃতা রেজিনা রোজারিও। সাইটসেভার্সের লিসা মরিস এবং অয়ন দেবনাথ অনুষ্ঠানে মূল-প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।