আলোকিত ডেস্ক :
করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষায় টিকার তৃতীয় ডোজ প্রয়োগের অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য এবং ওষুধ প্রশাসন সংস্থা (এফডিএ)। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার এই অনুমোদন দেওয়া হয়।
যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি দুটি টিকা ফাইজার ও বায়োএনটেক এবং মডার্নার তৈরি টিকার তৃতীয় ডোজের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যেসব মার্কিন নাগরিকের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা দুর্বল তাদেরকে শুধু এই ডোজ দেওয়া হবে। শুক্রবার রয়টার্সের খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট থেকে সুরক্ষায় ইসরাইল, জার্মানিসহ বেশ কয়েকটি দেশ করোনার টিকার তৃতীয় ডোজের অনুমোদন দেওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রও একই পথে হাঁটল।
করোনার টিকার বুস্টার ডোজের কার্যকরিতা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীদের মতানৈক্যের মধ্যেই তৃতীয় ডোজ প্রয়োগের অনুমোদন দিয়ে এফডিএ।
এর আগে গত বুধবার দায়িত্বশীল একটি সূত্রের বরাত দিয়ে সিএনএন জানায়, যাদের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা দুর্বল, তাদের জন্য করোনাভাইরাসের টিকার বুস্টার ডোজের অনুমোদন দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এফডিএ এই ঘোষণা দিতে পারে। সেই ৪৮ ঘণ্টা পেরোনোর আগেই তৃতীয় ডোজ অনুমোদন দিল এফডিএ।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের চিকিৎসকেরা বলছিলেন, দিন দিন এটা পরিষ্কার হচ্ছে, টিকা নেওয়ার পরও অনেকে এখনও ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ, করোনার বিরুদ্ধে সুরক্ষা দিতে তাদের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা যথেষ্ট শক্তিশালী হয়ে ওঠেনি।
গবেষণায় টিকা নেওয়ার চার মাস পর ৯৬ শতাংশ কার্যকরিতা থেকে ৮৪ শতাংশে নেমে আসার দাবির বিষয়ে ফাইজার বলছে, তাদের টিকার কার্যকরিতা বেড়েছে।
এনবিসির খবরে বলা হয়েছে, সিডিসির তথ্যসূত্রে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের ২ দশমিক ৭ শতাংশ টিকা গ্রহীতার করোনা প্রতিরোধব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পড়েছে বা নষ্ট হয়ে গেছে।
এ ছাড়া টিকার তৃতীয় ডোজ নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরে গবেষণা চালিয়ে আসছে ফাইজার। গত জুলাইয়ে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বলা হয়, ফাইজার বায়োএনটেকের টিকার তৃতীয় ডোজ করোনার মূল ভেরিয়েন্ট, বেটা ভেরিয়েন্ট ও দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত ভেরিয়েন্টের বিরুদ্ধে বেশি অ্যান্টিবডি তৈরি করছে। করোনার টিকার দুই ডোজ দিলে যে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়, তার চেয়ে ৫ থেকে ১০ গুণ বেশি অ্যান্টিবডি তৈরি হয় তৃতীয় ডোজে।