রাজধানীর কয়েকটি থানার পৃথক মামলায় আওয়ামী প্রেসিডিয়াম সদস্য আমির হোসেন আমু, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক নৌমন্ত্রী শাজাহান খানসহ ৭ জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
সোমবার সকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান শুনানি শেষে তাদের গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।
অন্য আসামিরা হলেন- সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, কামাল আহমেদ মজুমদার, আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক উপকমিটির দিলীপ কুমার আগারওয়াল ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ।
রাজধানীর শাহবাগ থানাধীন এলাকায় ক্ষুদ্র জুট ব্যবসায়ী মো. মনির হত্যা মামলায় আমির হোসেন আমু, শাজাহান খান, একই থানাধীন পলিটেকনিক শিক্ষার্থী ইসমাইল হোসেন রাব্বি হত্যা মামলায় আনিসুল হক, জুনাইদ আহমেদ পলককে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা তাদের গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেন।
আদালত আসামিদের উপস্থিতিতে গ্রেফতার দেখানোর বিষয়ে শুনানির দিন ২১ এপ্রিল ধার্য করেন। এদিন শুনানিকালে তাদের আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে আদালত তাদের গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।
মনির হত্যা মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ৫ আগস্ট শাহবাগ থানাধীন চানখারপুল এলাকায় ছাত্র-জনতার সঙ্গে আন্দোলনে অংশ নেন ক্ষুদ্র জুট ব্যবসায়ী মো. মনির।
দুপুরে আসামিদের ছোঁড়া গুলিতে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী গত ১৪ মার্চ শাহবাগ হত্যা মামলা করেন।
আনোয়ার হোসেন হত্যা মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, বৈষম্যববিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় আওয়ামী সরকারের পতনের দিন ৫ আগস্ট মিরপুর গোল চত্তর এলাকায় গুলিতে নিহত হন আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারী। এ ঘটনায় তার বাবা আল আমিন পাটোয়ারী মিরপুর মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন।