কোটা আন্দোলনে ক্ষয়ক্ষতি , জানাল পুলিশ

কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীরা এপিসি ২৫-এর সামনের দুটি এসএস স্ট্যান্ড, বনেটের উপরে বাম পাশে রেডিও এন্টেনা এবং ডান পাশের পিছনের চাকার মার্টগার্ড এবং ওয়াটার ক্যাননের বাম পাশের লুকিং গ্লাস ভেঙে ফেলেছেন। এতে পাঁচ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। রাজধানীর শাহবাগ থানায় পুলিশের করা মামলায় এ অভিযোগ আনা হয়েছে।

এর আগে গতকাল শুক্রবার বিকেলে রাজারবাগ পুলিশ লাইনের পরিবহন বিভাগের ড্রাইভার খলিলুর রহমান বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ১১ জুলাই কোটা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পূর্ব ঘোষিত আন্দোলনের কর্মসূচি ছিল। সে মোতাবেক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে অজ্ঞাতনামা ছাত্ররা জড়ো হন। পরে বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটের দিকে তারা স্লোগান দিয়ে শাহবাগ মোড়ের দিকে আসতে থাকেন। একপর্যায়ে আন্দোলনকারীরা শাহবাগ মোড় অতিক্রম করে বেআইনি জনতাবদ্ধ হয়ে দাঙ্গাসৃষ্টি করেন। সরকারি দায়িত্ব পালনে বাধা সৃষ্টি করে শাহবাগ মোড়ে পুলিশ ব্যারিকেড ভেঙে ফেলেন ও পুলিশের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি এবং কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের এলোপাতাড়ি মারধর করে সাধারণ জখম করেন। তারপর তারা হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের দিকে যেতে থাকেন। তখন তাদের বুঝিয়ে শুনিয়ে আবারও শাহবাগ মোড়ে ফিরিয়ে নিয়ে আসার সময় বিএসএমএমইউর পাশে নিরাপদ স্থানে রাখা এপিসি-২৫ ও ওয়াটার ক্যাননের চারদিকে ঘোরাও করে অনেক আন্দোলনকারী উঠে উদ্দাম নৃতা শুরু করেন এবং ওয়াটার ক্যানন ড্রাইভারকে গাড়ি থেকে জোরপূর্বক বের করার চেষ্টা ও গতিরোধ করেন। যার ফলে এপিসি-২৫-এর সামনের দুটি এসএস স্ট্যান্ড, বনেটের উপরে বাম পাশে রেডিও এন্টেনা এবং ডান পাশের পিছনের চাকার মার্টগার্ড এবং ওয়াটার ক্যানন, বাম পাশের লুকিং গ্লাস ভেঙে পাঁচ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি করে।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ছাত্রদের বুঝিয়ে শুনিয়ে এপিসি-২৫ ও ওয়াটার ক্যানন থেকে নামিয়ে আনে এবং পরিবেশ পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু তারা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে পানির বোতল, টেপটেনিস বল ও ইটের টুকরো ছুড়ে মারেন। যাতে অনেক পুলিশ সদস্য আঘাতপ্রাপ্ত হন।

একপর্যায়ে অজ্ঞাতনামা ছাত্ররা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে শাহবাগের আন্দোলনে যোগদান করে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে বারডেম হাসপাতালের গেটের ব্যারিকেড ভেঙে পুলিশকে আহত করেন এবং বিভিন্নস্থানে দৌড়াদৌড়ি করে সেখানে অবস্থান নেন ও পুলিশকে উদ্দেশ করে বিভিন্ন ধরনের অশ্লীল কটূক্তি করতে থাকেন। ছাত্ররা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের ওপর হামলা এবং শাহবাগ থানায় ছাত্রদের ধরে নিয়ে গেছে বলে গুজব ছড়িয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করার চেষ্টা করে এবং পুলিশকে মারার জন্য তেড়ে আসে ও পুলিশকে বিভিন্ন ভয়ভীতি এবং হুমকি প্রদান করে শাহবাগ মোড় ত্যাগ করেন।