ট্রান্সকম গ্রুপের সিমিনসহ তিনজনকে দেশে ফেরার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ

ট্রান্সকম গ্রুপের আরশাদ ওয়ালিউর রহমানকে হত্যার অভিযোগে বোন শাযরেহ হকের দায়ের করা মামলায় গ্রুপটির শীর্ষ তিন কর্মকর্তাকে নির্বিঘ্নে দেশে ফিরতে সহায়তার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে দেশে ফিরে তাদের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত।

রোববার বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও কেএম জাহিদ সারওয়ারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

ট্রান্সকম গ্রুপের তিন শীর্ষ কর্তা হলেন- গ্রুপের বর্তমান চেয়ারম্যান শাহনাজ রহমান, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সিমিন রহমান এবং হেড অব ট্রান্সফরমেশন যারেফ আয়াত হোসেন।

সিমিন রহমানের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সিদ্দিক উল্যাহ মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গত বছরের ১৬ জুন রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে মারা যান আরশাদ ওয়ালিউর রহমান। এ ঘটনায় ট্রান্সকম গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত লতিফুর রহমানের ছোট মেয়ে শাযরেহ হক নিজের মা-বোনের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, বড় বোন সিমিন রহমানসহ আসামিরা তার বড় ভাই আরশাদ ওয়ালিউর রহমানকে বিষ প্রয়োগ/শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছেন।

মামলার অপর আসামিরা হলেন- সিমিন রহমানের ছেলে যারাইফ আয়াত হোসেন, এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপক ডা. মুরাদ এবং পরিচালক (বিপণন ও বিক্রয়) ডা. মো. মুজাহিদুল ইসলাম, ট্রান্সকম গ্রুপের পরিচালক (অর্থ) কামরুল হাসান, আইন কর্মকর্তা মো. ফখরুজ্জামান ভুঁইয়া, ব্যবস্থাপক (করপোরেট অ্যাফেয়ার্স) কেএইচ মো. শাহাদত হোসেন, কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন ও সেলিনা সুলতানা এবং গ্রুপের কর্মচারী রফিক ও মিরাজুল।

এর আগে কোম্পানির সম্পত্তি ও শেয়ার-সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে বড় বোন ও গ্রুপের বর্তমান চেয়ারম্যান মা শাহনাজ রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করেন শাযরেহ। তাতে আরও অনেককে আসামি করা হয়।

ওই মামলায় বিশ্বাসভঙ্গ, জালিয়াতি ও দলিল জালের মাধ্যমে শাযরেহ ও তার প্রয়াত ভাই আরশাদ ওয়ালিউর রহমানকে ১০ হাজার কোটি টাকা মূল্যের পারিবারিক সম্পত্তির ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগ করা হয়।

পুলিশ ব্যুরো অভ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এরই মধ্যে মামলার আসামি ট্রান্সকম গ্রুপের পাঁচ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করে। তারা হলেন- প্রতিষ্ঠানের আইন উপদেষ্টা ফখরুজ্জামান ভুইয়া, পরিচালক (করপোরেট ফাইন্যান্স) কামরুল হাসান, পরিচালক (করপোরেট ফাইন্যান্স) আব্দুল্লাহ আল মামুন, ম্যানেজার আবু ইউসুফ মো. সিদ্দিক এবং সহকোম্পানি সেক্রেটারি মোহাম্মদ মোসাদ্দেক।

এর আগে কোম্পানির সম্পত্তি ও শেয়ার-সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ট্রান্সকম গ্রুপের প্রয়াত চেয়ারম্যান লতিফুর রহমানের মেয়ে শাযরেহ হক তার বড় বোন, ট্রান্সকম গ্রুপের বর্তমান সিইও সিমিন রহমান এবং গ্রুপের বর্তমান চেয়ারম্যান ও তাদের মা শাহনাজ রহমানসহ ট্রান্সকমের ৮ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করেছেন।