খুলনা প্রতিনিধিঃ
খুলনা নগরীতে আরিফ হাওলাদার নামে এক ইজিবাইক চালককে ছুরিকাঘাতে মারাত্মক জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। এ-ঘটনায় থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। তবে অভিযোগে উল্লেখিত আসামিদের চিনে না ভূক্তভোগী ও তার মা। এজাহারে যে সকল আসামিদের অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে তাদেরকে অধিকাংশকে ভূক্তভোগী নিজেই চিনেন না। অধিকাংশই হামলার সাথে জড়িত নয়।
গত মঙ্গলবার রাত নগরীর চিত্রালী সিনেমা হলের পাশের একটি ২তলা ভবনের বন্ধ গোডাউনের সামনে এ ঘটনা ঘটে। হামলার ঘটনায় আহত আরিফ হাওলাদার বর্তমানে খুমেক হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। ইজিবাইক চালক আরিফ হাওলাদারের দাবি, সঠিক অপরাধীকে তদন্ত পূর্বক গ্রেফতার করে শাস্তির আওতায় আনা হোক।
এজাহারের তিন নম্বর আসামি মোঃ আসিফ বিহারি জানায়, আমি ভূক্তভোগীকে চিনিই না। আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। খালিশপুরের কুখ্যাত মাদক কারবারি সাইদুজ্জামান সাগর ষড়যন্ত্র করে আমার নাম ঢুকিয়েছে। আমি এর সঠিক বিচার চাই, একই সাথে আমার নাম কেন ঢুকানো হলো তারও তদন্ত সাপেক্ষে বিচার চাই।
এজাহার সুত্রে জানা যায়, অভিযোগে ৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। তারা হলেন, খালিশপুরের পৌর সুপার মার্কেটের দুই সহোদর মোঃ মানিক হোসেন ও মামুন হোসেন। এছাড়া বঙ্গবাসি কারবালার পিছনের সেলিম বিহারির ছেলে মো: আসিফ বিহারি, মো: হৃদয় ওরফে লারা হৃদয়, ইয়াসিন ওরফে লম্বা ইয়াসিন, হৃদয় ওরফে নাটা হৃদয়। এজাহারে ভূক্তভোগীর মা তাসলিমা বেগম বরাত দিয়ে লেখা রয়েছে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার সন্তানের পেটে ছুরি ঢুকাতে গেলে আমার সন্তান সরে গেলে ছুরিটি তার পিঠের শিরদাড়ায় লেগে গুরুতর জখম হয়। ৩নং আসামীর হুকুমে অন্যান্য আসামীরা তাকে লাঠি, লোহার রড দিয়ে এলাপাতাড়ি মারতে থাকে। ৪ নং আসামীর হাতে থাকা রামদা দিয়ে আমার সন্তানের পায়ে কোপ মেরে জখম করে। এমতাবস্থায় মার্কেটের নিচের মানুষ শব্দ পেয়ে হাক চিৎকার দিলে উক্ত অভিযুক্ত ব্যাক্তিরা সেখান থেকে আমার সন্তানকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
এজাহার নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে ভূক্তভোগীর মা তাসলিমা বেগম জানান, আমার ছেলে হাসপাতালে, এ সময় কে বা কিভাবে এই অভিযোগে প্রকৃত আসামিকে বাদ দিয়ে ভূয়া নাম অর্ন্তভূক্ত করেন। আমি এর তদন্ত পূর্বক বিচার চাই।
তিনি আরও বলেন, আমার ছেলে নিরীহ ও শান্ত। কেন তাকে হামলা করলো? ওর যদি কিছু হয়ে যেতো তখন আমার কি হতো? আমার ছেলেকে ওরা হত্যার জন্যই হামলা করেছিলো। প্রশাসনের কাছে এর সঠিক বিচার চাই।
খালিশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আনোয়ার হোসেন জানান, কোন নিরপরাধ ব্যাক্তিকে মামলায় জড়ানোর সুযোগ নেই। হামলার ঘটনায় তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সঠিক অপরাধিকে শাস্তির আওতায় আনা হবে।