ভোটের দিন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা নেই : আইজিপি

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, ‌‘নির্বাচন নিয়ে আমরা কোনো শঙ্কা অনুভব করছি না।’
তিনি বলেন, ‘পুলিশ বাহিনীর পাশাপাশি র‌্যাব, আনসার নির্বাচনের দায়িত্বে থাকবে। বিজিবি টহল দিবে এবং ম্যাজিস্ট্রেটরা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন। সেই সাথে অন্য স্টেকহোল্ডাররাও একযোগে কাজ করছে। নির্বাচনের স্বস্তিদায়ক পরিবেশ রয়েছে। আমরা সবকিছু বিবেচনায় রেখে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি, যেন ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে এসে বাড়িতে ফিরে যেতে পারে। দেশের সব জায়গায় উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। মানুষ নির্বাচনমুখী হয়ে কাজ করে যাচ্ছে।’
আজ সোমবার সকালে রংপুর পুলিশ অফিসার্স মেসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
‘ভোটের দিন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির কোনো আশঙ্কা নেই’ উল্লেখ করে আইজিপি বলেন, ‘বাংলাদেশে পুলিশ আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও মানুষকে শান্তিতে রাখার জন্য দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছে। প্রয়োজনীয় সরঞ্জমাদিতে সুসজ্জিত পুলিশ বাহিনী নাশকতামূলক, নির্বাচন বানচালবিরোধী কার্যক্রম এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি করার যে কোনো প্রচেষ্ঠাকে নস্যাত করার সামর্থ্য পুলিশের রয়েছে।’
পুলিশ মহাপরিদর্শক বলেন, ‘প্রয়োজনীয় নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দেশে নাশকতা কমে এসেছে। এছাড়া নাশকতার প্রতিটি ঘটনা উৎঘাটিত হয়েছে। আশা করছি, দুস্কৃতিকারী নাশকতা করে পার পাবে না। দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী কঠের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা নির্বাচন কমিশনের দিকনির্দেশনার আলোকে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য পুলিশের কর্মকর্তাদের ব্রিফিং করেছি। তাদের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি, লজিস্টিক, ইকুপমেন্ট আছে কি না তা জিজ্ঞাসা করেছি। সেই সাথে নির্বাচন যেন সুন্দরভাবে হয়, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
আইজিপি বলেন, ‘আমাদের দেশ আসম্প্রদায়িক দেশ। এখানে আমরা সম্প্রীতির সুদৃঢ় বন্ধনে আবদ্ধ থেকে বসবাস করে আসছি। নির্বাচনে সকল মানুষ উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটকেন্দ্রে আসবেন। এছাড়া এদেশের মানুষ শান্তিপ্রিয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিগত দিনে জনসাধারণ, জনপ্রতিনিধি, মিডিয়াকর্মীদের সহযোগিতা পেয়েছি। এতে করে দেশের আইনশৃঙ্খলা দিন দিন উন্নতি লাভ করছে। আগামী দিনেও এ সহযোগিতা পাব বলে বছরের প্রথম দিনে আমি মনে করছি।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন রংপুর বিভাগীয় কমিশনার হাবিবুর রহমান, রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি আব্দুল বাতেন, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান, রংপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান, জেলা পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলী চৌধুরী, র‌্যাব-১৩ অধিনায়ক আরাফাত ইসলাম, পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার এবিএম জাকির হোসেনসহ পুলিশ কর্মকর্তারা।