সিলেট প্রতিনিধিঃ শনিবার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন নগরীর শিবগঞ্জ মজুমদারপাড়ার মৃত সামসুদ্দিন খন্দকারের পুত্র মো. আহসানুল করিম খন্দকার মিলু। তার স্থায়ী নিবাস মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার ব্রাক্ষণবাজার ইউনিয়নের নাসিরাবাদ গ্রামে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ১৯৯৭ সালের ১১ জুন সামাজিকভাবে ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে তাঁর মামাতো বোন কুলাউড়া উপজেলার দিলদারপুর গ্রামের আব্দুল কাদির চৌধুরীর মেয়ে নাজমিন আরা চৌধুরী শিল্পীকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর সুন্দরভাবেই সংসার জীবন অতিবাহিত করতে থাকেন এবং এক ছেলে ও এক মেয়ের জন্ম হয়। ছেলে খন্দকার শামীম ওয়াদির বয়স এখন ২৪ এবং মেয়ে জারিন তাসনিম অবনীর বয়স ১৮ বছর।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ২০২০ সালে তার স্ত্রীর সাথে মোবাইলে মিস কলের মাধ্যমে পরিচয় ঘটে কুলাউড়ার বরমচাল মাধবপুর গ্রামের মৃত আফতাব উদ্দিনের পুত্র ট্রাভেলস ব্যবসায়ী ফয়েজ উদ্দিন আহমদের। বর্তমানে ফয়েজ উদ্দিন সিলেট নগরীর সুরমা টাওয়ারে এডুকেশন কাউন্সিল নামে একটি ফার্ম পরিচালনা করছেন। যোগাযোগের একপর্যায়ে আমার স্ত্রীর সঙ্গে ফয়েজের ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে। বিষয়টি নিয়ে স্ত্রীর সাথে প্রায়ই ঝগড়া হতো।
ছেলেমেয়েরাও তাদের মাকে বুঝানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় এবং তাদের সঙ্গেও ঝগড়া হতো। বিষয়টি একপর্যায়ে খারাপের দিকেই যেতে থাকে। আমার স্ত্রী সংসারে অমনোযোগী হয়ে উঠে এবং সকলের সাথে খারাপ ব্যবহার করতে থাকে।
মিলু জানান বিষয়টি নিয়ে আত্মীয়স্বজন, পাড়া প্রতিবেশী ও কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদসহ পারিবারিক বৈঠক হয়। তারা তাকে বুঝানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। ২০২০ সালে কোরবানী ঈদে আমার স্ত্রী ছেলে মেয়েকে বেড়ানোর কথা বলে তার পিত্রালয়ে নিয়ে যায়। এরপর থেকে সে আর বাসায় আসতে চায়না। আমি ও আমার আত্মীয়স্বজন অনেক চেষ্টা করেও তাকে আনতে পারিনি। এভাবে সে প্রায় ৬/৭ মাস তার পিত্রালয়ে থাকে। এ সময় আমার ছেলে চলে আসলেও মেয়েকে সে জোরপূর্বক রেখে দেয়। অদ্যবধি মেয়ের কোন খোঁজ-খবর পাচ্ছিনা।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, তার স্ত্রী যাওয়ার সময় প্রায় ২৭ লাখ টাকা নিয়ে যান। আমি জানতে পাই ফয়েজ উদ্দিনের সাথে সে সংসার শুরু করেছে। মিলু বলেন, ফয়েজ উদ্দিনকে সাথে নিয়ে তাকে হয়রানী করতে একের পর এক মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করছে শিল্পী।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি সিলেটের প্রশাসনের সকল মহলের কাছে নিরাপত্তার জন্য সহায়তা ও ফয়েজ চক্রের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানান।