ডেস্ক নিউজঃ জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর আলু, পেঁয়াজ ও ডিমসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে সারা দেশে অভিযান অব্যাহত রেখেছে। এর সুফলও পাওয়া যাচ্ছে।
গতকাল শনিবার বগুড়ায় সরকার নির্ধারিত দরে আলু বিক্রি করতে দেখা গেছে। এতে ক্রেতার মাঝে স্বস্তি ফিরেছে। তবে কোথাও কোথাও হিমাগার থেকে আলু বের না করে কৃত্রিম সংকট তৈরির পাঁয়তারা করছে কিছু ব্যবসায়ী। কুমিল্লায় ১০৮ বস্তা আলু জব্দ করে সরকার নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি করেছে ভোক্তা অধিকার।
শনিবার অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অভিযানে মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা, ক্রয়ের রসিদ দেখাতে না পারাসহ নানা অনিয়মের কারণে সারা দেশে ৮৬ প্রতিষ্ঠানকে ২ লাখ ৩২ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ব্যুরো ও প্রতিনিধির পাঠানো খবর-
কুমিল্লা: নগরীর চকবাজারে অভিযান চালিয়ে সাড়ে ৬ হাজার কেজি আলু জব্দ করে সরকার নির্ধারিত ৩৫ টাকা দরে বিক্রি করেছে ভোক্তা অধিকার। ভোক্তার কুমিল্লার সহকারী পরিচালক আছাদুল ইসলাম জানান, কিছু ব্যবসায়ী বগুড়া ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ এলাকার ভাউচার নকল করে নিজেদের মতো দাম বসিয়ে আলু বিক্রি করছিলেন। তাদের গোডাউনে রক্ষিত ৬ হাজার ৪৮০ কেজি (১০৮ বস্তা) আলু জব্দ করা হয়। পরে সরকার নির্ধারিত দরে ১৯ বস্তা আলু খুচরা বিক্রেতাদের কাছে এবং ৮৯ বস্তা আলু নগরীর বিভিন্ন স্থানে ট্রাকের মাধ্যমে সাধারণের মাঝে বিক্রি করে দেওয়া হয়।
বগুড়া: শহরের রাজাবাজারে প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে সরকার নির্ধারিত ৩৬ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি হচ্ছে। এতে ক্রেতাদের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে। তবে পাকরিসহ অন্যান্য আলু ৫০ টাকার বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। আলু বিক্রেতা শাহীন হোসেন, আবদুর রশিদ ও মিজানুর রহমান জানান, শুক্রবার তারা খুচরায় ৪২ থেকে ৪৪ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি করেছেন। তবে শনিবার জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কোল্ড স্টোরেজ থেকে পাইকারি ৩০ টাকা কেজি দরে আলু কিনেছেন। এরপর সরকার নির্ধারিত ৩৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন।
এছাড়া, সিরাজদিখান উপজেলার ইছাপুরা বাজারে মূল্যতালিকা না থাকায় ৪টি প্রতিষ্ঠানকে ১২ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার। এরমধ্যে রুবেল স্টোরকে ৫ হাজার টাকা, আল্লাহ ভরসা স্টোর ২ হাজার টাকা, নজরুল স্টোর ৩ হাজার টাকা ও মেসার্স লিটন স্টোরকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।