স্বাস্থ্য ডেস্কঃ বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্লাডপ্রেসার ও ডায়াবেটিস রোগীরা স্ট্রোকের সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে। তবে কোনো স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগী যদি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়, সেটি খুবই বিপজ্জনক। এজন্য চলমান ডেঙ্গু প্রকোপে এসব রোগীদের আলাদা নজরে রাখার পরামর্শ তাদের।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. শফিফুল ইসলাম বলেন, বিশ্বে মৃত্যুর দ্বিতীয় কারণ হলো স্ট্রোক। চিকিৎসার চেয়ে এটি প্রতিরোধ সবচেয়ে উত্তম ব্যবস্থা। ব্যক্তি চাইলে ৯০ শতাংশই প্রতিরোধ করতে পারে। এখন শহরাঞ্চলে খেলাধুলার মাঠ কমেছে, খাদ্যাভ্যাসে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। আক্রান্তদের ২৩ শতাংশ জাঙ্কফুডে অভ্যস্ত। সবচেয়ে বড় প্রভাব ফেলছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রতি আসক্তি।
তিনি বলেন, বিষয়টি এরকম নয় যে, ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর প্লাটিলেট কমে যাওয়ামাত্রই রক্তক্ষরণ হয়ে রোগী হঠাৎ মারা যাবেন। মানুষের রক্তে তিন ধরনের রক্তকণিকার সবচেয়ে ছোটটি প্লাটিলেট। রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে এটি। তাই এটি কমে গেলে রক্তক্ষরণ হতে পারে এবং বেড়ে গেলে রক্ত জমাট বেঁধে হার্ট অ্যাটাক ও ব্রেন স্ট্রোক হতে পারে।
এ সময় কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, প্রতিবছর বর্ষা আসলেই আমরা ডেঙ্গু নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়ি। কারণ হলো বর্ষায় জমা পানিতে এডিস মশা জন্ম নেয়। তবে শুধু বর্ষার পানিতেই এডিসের জন্ম হয়, বিষয়টা এরকম নয়। যে ভেক্টরগুলোর মাধ্যমে এডিসের জন্ম হয়, সেগুলোর অন্যতম হলো বাসার ছাদবাগান, গ্যারেজের পরিত্যক্ত টায়ার, ফুলের টবে জমে থাকা পানি। এই জায়গাগুলোতে যদি আমরা বংশবিস্তার রোধ করতে পারি, তাহলেই ডেঙ্গু থেকে আমরা বেঁচে যেতে পারি।
ডা. আসাদুজ্জামান আরও বলেন, ডেঙ্গুর এখনও কোনো কার্যকরী টিকা আবিষ্কার হয়নি। অথচ কোভিড আসার নয় মাসের মধ্যেই টিকা চলে এসেছিল। ডেঙ্গুর চারটি সেরোটাইপ, যেকারণে টিকা আবিষ্কারের প্রতিবন্ধকতা তৈরি হচ্ছে।